দিনে আধাঘণ্টার হাঁটা কমাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি
যেসব মানুষ দিনে অন্তত ৩৫ মিনিট হাঁটেন অথবা সপ্তাহে দুই-তিন ঘণ্টা সাঁতার কাটেন, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকির মাত্রা শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়দের তুলনায় কম। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারীদের ‘শারীরিক সক্রিয়তা’ পরীক্ষা করা হয়। যেসব মানুষের স্ট্রোক হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল স্ট্রোকের পূর্বে তাঁরা অবসর সময়ে কেমন চলাফেরা করতেন বা কত সময় ধরে ব্যায়াম করতেন। ব্যায়ামের সময় ও প্রাবল্যের নিরিখে শারীরিক সক্রিয়তার গড় নির্ধারণ করেন গবেষকরা।
গবেষণা নিবন্ধটির লেখক ক্যাথারিনা এস সানেরহ্যাগেন বলেন, ‘শারীরিক অক্ষমতার প্রধান কারণ স্ট্রোক। তাই কী উপায়ে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায় বা অক্ষমতা কমানো যায়, সেজন্য এর অনুসন্ধান গুরুত্বপূর্ণ।
‘শারীরিক ব্যায়াম সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলপ্রদ, আমাদের গবেষণা বলছে, এমনকী প্রত্যেক সপ্তাহে সামান্য শারীরিক সক্রিয়তাও শরীরের ওপর বড়সড় প্রভাব ফেলে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির মাত্রা কমায়।’
সপ্তাহে অন্তত চার ঘণ্টা হাঁটা হালকা শারীরিক সক্রিয়তা হিসেবে সংজ্ঞায়িত। মধ্যম শারীরিক সক্রিয়তা বলতে সপ্তাহে দুই-তিন ঘণ্টা সাঁতার, প্রাণবন্ত হাঁটা অথবা দৌড়ানোকে বোঝায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীর ৫২ শতাংশ বলেছেন, স্ট্রোকের আগে তাঁরা ব্যায়ামই করতেন না।
গবেষকরা লক্ষ করেন, মধ্যম ও তীব্র স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরাই, যাঁরা একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন; তাঁদের তুলনায় হালকা ব্যায়ামকারীদের মৃদু স্ট্রোক হয়েছে।
সানেরহ্যাগেন জানান, শারীরিক সক্রিয়তা মস্তিষ্কের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে, তাঁদের গবেষণা তা-ই বলছে। তবে শারীরিক সক্রিয়তা তীব্র স্ট্রোকের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা জানার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পুরো গবেষণা নিবন্ধটি নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।