ই-সিগারেটও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর
ধূমপানের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করেন ইলেকট্রনিক সিগারেট (সংক্ষেপে ইসিগারেট)। ধূমপানের ক্ষতি ইসিগারেটে হয় না বলেই মনে করা হয়। তবে গবেষকরা বলছেন ভিন্নকথা। তাঁদের মতে, সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর ইসিগারেট। এতেও যে রাসায়নিক উপাদান থাকে তা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ডের মেডিকেল স্কুল ইসিগারেট এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালায়। ৫০টি ব্র্যান্ডের ইসিগারেট নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে সব ধরনের স্বাদ ও গন্ধের ইসিগাটই ছিল। এসব ইসিগারেটের প্রতিটির মধ্যেই এমন রাসায়নিক বস্তু পাওয়া গেছে যা ‘পপকর্ন লাংস’ নামে পরিচিত ফুসফুসের বিশেষ রোগের জন্য দায়ী। এ ছাড়া এসব রাসায়নিকের কারণে দম কমে যাওয়া ও কাশি হতে পারে।
পপকর্ন ফ্যাক্টরিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ফুসফুসে এক ধরনের সমস্যা দেখা যায়, যাকে বলা হয় ‘পপকর্ন লাংস’। ধারণা করা হয় এসব প্রতিষ্ঠানে পপকর্ন ভাঁজতে যে মাখন ব্যবহার হয় এর ঘ্রাণ নিয়মিত পাওয়ার কারণে একসময় ‘পপকর্ন লাংস’ অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই ফুসফুসের রোগে মৃত্যু অবধারিত। গবেষকদের মতে, ইসিগারেটের যে রাসায়নিক দ্রব্য থাকে তাও একই অবস্থার সৃষ্টি করে।
বিশ্বের সব দেশের ইসিগারেটই প্রায় একই গঠন ও পদ্ধতির। তাই বলা যায় গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রের হলেও এর ফলাফল সারাবিশ্বের ইসিগারেট ব্যবহারকারীর জন্যই প্রযোজ্য।
পশ্চিমাবিশ্বে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ইসিগারেটের ব্যবহার বেড়েছে একটি হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ ইসিগারেট ব্যবহার করে। দাবি করা হয়, ক্যানসারের জন্য দায়ী কোনো রাসায়নিক ইসিগারেটে থাকে না।