উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবারদাবার

দৈনন্দিন জীবনযাপনের ধরনে উচ্চ রক্তচাপ বহুল প্রচলিত একটি বিষয়। রক্তকে পরিপূর্ণভাবে দেহে পৌঁছানোর জন্য হৃৎপিণ্ড নিয়মিত সংকোচন ও প্রসারণ করে থাকে। সংকোচন ও প্রসারণের সময় রক্তনালির মধ্য দিয়ে যখন রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন নালির গায়ে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে, একে রক্তচাপ বলা হয়। একজন মানুষের হৃৎপিণ্ডের সংকোচনের চাপ যখন ১৪০ মিলিমিটার অব মার্কারি থেকে বেশি ও প্রসারণের চাপ ৯০ মিলিমিটার থেকে বেশি হয়; যদি সর্বনিম্ন টানা সাতদিন একই থাকে, এ অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায়। এটি কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তবে খাওয়াদাওয়ায় একটু পরিবর্তন আনলে এবং কিছু খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে এসব খাবারের পরামর্শ।
লাল-সাদার প্রতিযোগিতা
মাছ ও মুরগির মাংস রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে লাল মাংস রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন : গরুর মাংস, খাসির মাংস ইত্যাদি। তাই চেষ্টা করুন লাল এড়িয়ে সাদাকে গ্রহণ করার। পাশাপাশি বেশি পরিমাণে সবজি খান।
রসুন
ভারতীয় উপমহাদেশে দীর্ঘদিন ধরে অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার বয়োজ্যেষ্ঠরাও হয়তো বহুবার আপনাকে রসুনের গুণের কথা বলেছে। এই প্রাকৃতিক ওষুধ দেহে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পেয়াঁজ এবং মধু
একটি কাঁপে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস নিন। এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান। এই পদ্ধতি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সমাধানে প্রতিদিন খেয়ে যেতে পারেন।
কারি পাতা
কারি পাতা এমন এক প্রাকৃতিক অস্ত্র, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে বেশ উপকারী। খাওয়ার পানির মধ্যে চার-পাঁচটি কারি পাতা যোগ করে ঠাণ্ডা করে খেতে পারেন। প্রতিদিন একবার করে এই পানীয় পান করতে পারেন।
গাজর
একটি বড় গ্লাসে গাজর ও পুঁইশাক চটকে জুস করে খেতে পারেন। দিনে দুই বেলা এটি পান করলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
বিট পালং
এই সুন্দর সবজিটি জুস হিসেবে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিদিন দুবার এটা পান করতে পারেন। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের পাশাপাশি এগুলো খেতে হবে। এগুলো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা সম্ভব।