অকালবার্ধক্য রোধে কী করবেন
জীবন আজকাল বড় বেশি গতিশীল আর সবাই এত ব্যস্ত যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মাঝে রয়েছে আমাদের ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাস। প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি তো আছেই! মানে কাঠফাটা রোদের কথা বলছি। এসব কিছুর ফলেই আপনার ত্বক পুড়ে যায়, কুচকে যায়, বলতে পারেন বুড়িয়ে যায়। ২০ অথবা ৩০ বছরেই এখন অনেক নারীর ত্বকে বার্ধক্যের চিহ্ন প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই অকালবার্ধক্য রোধে টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে দেওয়া হলো কিছু পরামর্শ।
সঠিক খাবার খান
সঠিক খাবার দেহের কোষকে ভালো রাখে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকেও রাখে সতেজ। ত্বক ভালো রাখতে সতেজ খাবার খেতে হবে। এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে। এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে পানি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। ত্বকের শুষ্কতারোধে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এটি শরীর থেকে দূষিত দ্রব্য প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার মাখুন
ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতারোধে তাই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার মাখতে পারেন।
হারবাল চা পান করুন
গ্রিন টি এবং হারবাল টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া রোধে কাজ করে। এই ধরনের চা শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে এবং ত্বকের শুষ্কতারোধে কাজ করে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
যেকোনো ধরনের ব্যায়ামই আপনাকে তরুণ রাখতে সাহায্য করবে। এটি দেহের রক্ত চলাচলকে সচল রাখে এবং শরীরের সব জায়গায় পুষ্টি পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
চাপমুক্ত থাকুন
চাপ দেহে ফ্রি রেডিক্যালস তৈরি করে, যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অকালবার্ধক্যের ঝুঁকি বাড়ায়। মেডিটেশন, ইয়োগা, হাঁটা, খেলাধুলা করা, বাগান করা এগুলো আপনাকে চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মুখে বলিরেখা কম পড়বে।
যেসব খাবার ত্বককে ভালো রাখে
ভিটামিন সি-তে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি কোলাজেন তৈরিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কোলাজেন স্থিতি স্থাপকতা রক্ষা করে ত্বককে টান টান রাখে। এটি ত্বককে শক্তিশালী করে এবং কোষের দেয়ালে ইলাস্টিন তৈরি করে। তাই নিয়মিত আপনার খাদ্যতালিকায় আমলা, কমলা, লেবু, কিউই, ক্যাপসিকাম, লাল মরিচ ইত্যাদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন।
বিটা কেরোটিন
এই ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোষ উৎপন্ন হতে সাহায্য করে এবং বুড়িয়ে যাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আপনার খাবারে পেপে, গাজর এগুলো রাখতে পারেন। এটি টিস্যুর যত্ন নেয়, কোষের বুড়িয়ে যাওয়াকে শ্লথ করে।
জিংক
জিংক-সমৃদ্ব খাবার খান। জিংক কোষের বৃদ্ধিকে সাহায্য করে। এবং কোষ পুনর্গঠন করে। তাই জিংক-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। সামুদ্রিক মাছ, ভূসি বা ভূসি সমেত খাবার এবং পেঁয়াজ এগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
প্রয়োজনীয় চর্বি
যদি আপনি ভালো ত্বক বজায় রাখতে চান এবং টিস্যুর মেরামত করতে চান তবে ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাবার খুব প্রয়োজনীয়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে ফ্লাক্সিড, ওয়ালনাট, স্যালমন মাছ এবং সারদিনসে।