দইয়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
দইয়ের মধ্যে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, জিংক ও ফসফরাস। শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরো অনেক উপকারী গুণ। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদ চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেব দই এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে দই এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
উম্মে সালমা তামান্না বলেন, দই পুষ্টি প্রদানকারী খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। দই খেলে আমাদের হজমের সমস্যা সহজে দূর হয়ে যায়। যদি কোনো ব্যক্তির গাট ব্যাকটেরিয়া ভালো থাকে কিংবা গাট শক্তিশালী হয়, তখন ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Immune system) খুব শক্তিশালী থাকে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে। অন্ত্রীয় উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি থাকে, তাদের খুব সহজে কিছু দিন পর পর যে কোনো অসুখে বা যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে, অবশ্যই খাবার তালিকায় দই রাখতে পারেন।
দইয়ে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ও স্বাস্থকর ব্যাকেটেরিয়া রয়েছে, যেটা খুব সহজে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
দইটা আপনি কখন খাবেন, কীভাবে খাবেন এই সম্পর্কে উম্মে সালমা তামান্না বলেন, অনেকে ঠাণ্ডা , অ্যাজমা ও এলার্জি সমস্যার কারণে দই খেতে চাই না। তাই যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে, তারা যদি একটু সময় বুঝে পরিমাণ করে দই খান, তাহলে তাদের আর ঠাণ্ডার সমস্যা থাকবে না। দইটা ফ্রিজ থেকে নামানোর পর ঠান্ডাটা কমে গেলে দই খেতে হবে। সকাল ১০–১১টা কিংবা সকালে নাস্তার পর দই খেলে আর ঠাণ্ডা বা শ্বাসকষ্ট বাড়ার সমস্যা থাকবে না।
প্রকৃতপক্ষে যাদের দুধ খেলে হজম হয় না। যাদের পেটে গণ্ডগোল, পেট খারাপ ও গ্যাস্ট্রিকে সমস্যা হয়, তাদের কিন্তু ল্যাকটোজেন টলারেন্স থাকে। আপনি নির্দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে দই খেতে পারেন। কারণ দইয়ে ল্যাকটোজ থাকে না। দইয়ে থাকে ল্যাকটিজ এসিড। আপনি যদি টক দই নিয়মিত গ্রহণ করেন। আপনার দুধ ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি আপনার গাট ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হবে।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না আরও বলেন, যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে। আমরা তাদেরকে বলি খাবারটা যেন হজম হয়। সেই কারণে আপনি খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে কিংবা পরে দই গ্রহণ করতে পারেন। বিশেষ করে দুপুরের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনট পর হাফ কাপ বা এক কাপ দই গ্রহণ করলে দেখা দেখা যাবে, খাবারটা খুব সহজে হজম হবে।
দইয়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।