রাজনৈতিক সংকটে পেরু : চলমান বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ২০
পেরুর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেপ্তারের পর চলমান বিক্ষোভে ২০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর গভীর হওয়া রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে সরকার।
শুক্রবার দেশটির রাজধানী লিমায় ক্ষমতা কাঠামোর সকল শাখার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিল অব স্টেটস ও চার্চ নেতাদের এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে ক্যাস্তিলোর অভিশংসনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংস বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। গত ৭ ডিসেম্বর দেশটির বামপন্থি প্রেসিডেন্ট ক্যাস্তিলো ক্ষমতাচ্যুত হন।
শুক্রবার সন্ধ্যার ওই বৈঠকের পর পেরুর ন্যাশনাল বোর্ড অব জাস্টিসের প্রধান হোসে আভিয়া দেশের সকল নাগরিককে সহিংসতা এড়াতে এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে আহ্বান জানান।
এ ধরনের আলোচনাকে উৎসাহিত করতে মন্ত্রীরা যে যে এলাকায় বিক্ষোভ হচ্ছে সেখানে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি দেননি।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা পেরুর স্থানীয় একটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশটির দক্ষিণপূর্ব শহর কুসকোতে কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটি কয়েক বছর ধরেই তীব্র রাজনৈতিক সংকটকাল পার করছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্যাস্তিলো এক ঘোষণায় দেশের পার্লামেন্ট কংগ্রেস বিলুপ্ত করে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন জানানো পর সাম্প্রতি সংকটের সূচনা হয়।
তবে তার ওই পরিকল্পনা ‘ব্যাকফায়ার’ করে, কংগ্রেস উল্টো প্রেসিডেন্টকেই অভিশংসনে ক্ষমতাচ্যুত করে বলুয়ার্তেকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপরপরই ক্যাস্তিলোকে আটক করা হয়, তার বিরুদ্ধে এখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
বামপন্থি এ রাজনীতিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে এখনো দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট দাবি করছেন।
তার সমর্থক বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ভেঙে দিতে এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার কংগ্রেস নির্বাচন আগামী বছর এগিয়ে আনার একটি প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।