বৈরুতে হামলায় ইসরায়েলের ব্যবহৃত ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা কী?
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বেশ ফলাও করে প্রচার করছে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য লেবাননের রাজধানী বৈরুতে যে হামলা চালানো হয়, তাতে দেশটির সামরিক বাহিনী ৮৫টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করেছে।
বোমাগুলো সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বাঙ্কার-বাস্টার বোমাগুলোর একেকটির ওজন দুই হাজার থেকে চার হাজার পাউন্ড (৯০৭ থেকে ১৮১৪ কেজি)। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা ২০২০ সালে এই বোমাগুলো ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রয়োজন এই যুক্তি দেখিয়ে তা বিক্রি করার সুপারিশ করে। আর এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সেগুলো কিনতে শুরু করে ইসরায়েল।
মাটি ভেদ করে বেশ গভীরে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম এই বোমাগুলো ইসরায়েল ২০২৩ সালের শেষ দিকে গাজা যুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ২৫ হাজার টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে।
জনবহুল এলাকায় এসব বোমার ব্যবহারকে জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়। গণহারে নির্বিচার ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলেই বাঙ্কার-বাস্টার বোমার ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়।
এদিকে, আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো সকাল থেকে লেবাননের বিভিন্ন স্থাপনায় বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত লেবাননের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। তবে এসব হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ দেয়নি তারা।