রক্তদানে জেনে রাখুন ১৪ বিষয়
হাত, পা অথবা চোখ ব্যতীত বেঁচে থাকা সম্ভব হলেও, রক্ত ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করা যায় না। কারো দেহে রক্তের অভাব ঘটলে তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। রক্তদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
১. যেকোনো সুস্থ সাবালক ব্যক্তি রক্ত দান করতে পারেন। তবে ওজন হতে হবে কমপক্ষে ৫০ কেজি বা ১১০ পাউন্ড।
২. একবার সম্পূর্ণ রক্তদানের দুই মাস পরই আবার রক্তদান করা সম্ভব।
৩. উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অথবা কোনো ওষুধ সেবনকারী রক্ত দান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. গর্ভাবস্থায় রক্ত দান করা যাবে না।
৫. যথাযথ নিয়ম মেনে জীবাণুমুক্ত উপায়ে রক্তদান করলে রক্তদাতার কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
৬. রক্তদানের পর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে এবং পরবর্তী চার ঘণ্টা পর প্রচুর পানীয় গ্রহণ করতে হবে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
৭. রক্তদানের পর পরই শ্রমসাধ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৮. সম্পূর্ণ রক্ত অথবা লোহিত কণিকা সাধারণত এক ডিগ্রি থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবহৃত এন্টিকোয়াগুল্যান্ট ও প্রিজারভেটিভের ওপর নির্ভর করে, তা ২১ দিন থেকে ৪২ দিন ভালো থাকে।
৯. সাধারণত চার ইউনিট রক্ত থেকে এক ইউনিট প্লাটিলেট পাওয়া যায়। যথাযথ প্রক্রিয়ায় রাখলে তা পাঁচদিন ভালো থাকে।
১০. ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক বছর ভালো থাকে।
১১. সম্পূর্ণ রক্ত দিতে সাধারণত দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। প্লাটিলেট দিতে কম সময় লাগে।
১২. রক্ত গ্রহণ অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো সমস্যা নেই। এমন কি নার্সের সহায়তা নিয়ে বাথরুমেও যাওয়া যাবে।
১৩. রক্ত দেওয়া অবস্থায় সামান্য জ্বর বা অ্যালার্জি দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিহিস্টামিন বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিলেই চলবে।
১৪. রক্ত দেওয়ার আগে এবং রক্ত গ্রুপ, ব্যাগের নাম্বার, নাম ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
লেখক : ডিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।