থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম নির্ণয়ে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ভূমিকা কী?
নিউক্লিয়ার মেডিসিন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার একটি আধুনিক পদ্ধতি। এটি দিয়ে থাইরয়েডের নানা রোগ নির্ণয় করা হয়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০০৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নুরুন নাহার। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস বিএমএমের পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : থাইরয়েডের রোগ নির্ণয়ে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে আপনারা কী করে থাকেন?
উত্তর : থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম নির্ণয়ে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ভূমিকা অনেক। প্রথমত হলো, থাইরয়েডের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না দেখার জন্য আমরা হরমোন পরীক্ষা করবো। থাইরয়েড এফটি থ্রি, এফটি ফোর এবং আরো কিছু হরমোন পরীক্ষা করবো। করে আমরা দেখবো কার্যক্রম কম না বেশি। আর যদি থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয় বা টিউমার হয়, সেই ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করি। আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। আল্ট্রসোনোগ্রাম করলে এনাটোমিক্যাল অবস্থা বুঝতে পারি। গ্রন্থি কতটা বড়, সেখানে কোনো টিউমার রয়েছে কি না, কতগুলো টিউমার রয়েছে, টিউমারগুলোর চেহেরা কেমন -এগুলো দেখি। এর সঙ্গে সঙ্গে থাইরয়েড স্ক্যান করতে পারি। রেডিও আইসোটোপ ব্যবহার করে, রোগীকে আমরা স্ক্যান করি। এটি করে থাইরয়েড গ্রন্থির ছবি নিই। ছবি দেখে আমরা বুঝতে পারি, থাইরয়েড গ্রন্থিটা কী রকম কাজ করছে। কোনো টিউমার রয়েছে কি না, থাকলে টিউমারগুলো কী রকম কাজ করছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আমরা করি। সেটি হলো থাইরয়েড আপটেক। এখানে রোগীকে অল্প পরিমাণ রেডিও আইসোটোপ রোগীকে খাওয়ানোর পর, দুই ঘণ্টা ও ২৪ ঘণ্টা পর থাইরয়েড গ্রন্থি কতটুকু আপটেক করলো, সেটি দেখি। এটি নিলে আমরা বুঝতে পারি যে থাইরয়েড গ্রন্থি কীরকম কাজ করছে। বেশি না কি কম? যদি রোগী থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা নিয়ে আসে, তাহলে ফিজিসিয়ান এরকম পরীক্ষাগুলো করতে পাঠায়। নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মাধ্যমে থাইরয়েডের এসব সমস্যা নির্ণয় করা হয়।