শরীরে আঘাত লেগে ফুলে গেলে করণীয়
শরীরের কোনো জায়গায় জোরে আঘাত লাগলে বা থেঁতলে গেলে সে জায়গাটা প্রথমে লাল হয়ে ফুলে যায় এবং বেশ ব্যথা করতে থাকে। পরে জায়গাটি নীল ও ক্রমশ কালো হয়ে যন্ত্রণাদায়ক কালশিরার সৃষ্টি করে। পরে আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে এই আঘাতজনিত ফোলা ও কালশিরা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
- আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে আঘাতের জায়গাটিতে বরফ চেপে ধরুন। আঘাতের প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা দিলে ওই জায়গার রক্তনালি সংকুচিত হয়। এতে বেশি রক্তপাত হয় না এবং ফোলা ও ব্যথা কম হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত না হওয়ায় কালশিরা পড়ে না।
- এর সঙ্গে ব্যথার ওষুধ, যেমন : প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
- আক্রান্ত জায়গাটিতে প্রথমে মালিশ করলে ভালো লাভ হয় না। কিন্তু পরবর্তীকালে মালিশ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে মালিশ করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে হাড় ভেঙেছে কি না। হাড় ভাঙার আশঙ্কা থাকে, তাহলে মালিশ করা যাবে না।
- আঘাত পাওয়ার পরের দিন আঘাতের জায়গায় গরম সেঁক দেবেন। তখন আর ঠান্ডা সেঁকের প্রয়োজন নেই। গরম সেঁকের কারণে ফোলা জায়গা থেকে জমে থাকা রক্তগুলো সরে যায়, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং আক্রান্ত জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠে।
- তীব্র ব্যথা না কমলে এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে ফোলাও অপরিবর্তিত থাকে কিংবা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে হাড় ভাঙার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে নিজে কিছু না করে হাসপাতালে যান।
বি. দ্র. : আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে কখনো গরম কিছুর সেঁক দেবেন না। কারণ, গরম সেঁক দিলে ওই জায়গায় রক্ত এসে জমা হয়। পরে ওই রক্ত জমাট বেঁধে গেলে জায়গাটা বেশি ফুলে যায় এবং ফুলে ওঠা জায়গাটিতে প্রচণ্ড ব্যথা করে। সে জন্য প্রথমে ওই স্থানে বরফ বা ঠান্ডা সেঁক দিতে হয়, তাহলে রক্তনালির সংকোচনের জন্য ওই স্থানে রক্ত আসে না। পরের দিন অবশ্য গরম সেঁক দিতে হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।