কীভাবে ব্যবহার করবেন পাবলিক টয়লেট
ঘরের বাইরে বেরোলে কখনো কখনো বাধ্য হয়ে আমাদের পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার ব্যবহার করতেই হয়। পাবলিক টয়লেট অনেক রোগজীবাণুর উৎস। এর পরিবেশটিই এমন যেখানে অনেক জীবাণু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে এবং সংক্রমণের শঙ্কা থাকে। এর ফলে ত্বক, অন্ত্র ইত্যাদিতে সংক্রমণ হতে পারে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের কিছু সতর্কতার কথা।
সঙ্গের জিনিসপত্র
আপনার সঙ্গে থাকা ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিস টয়লেটের ভেতর না নিয়ে যাওয়াই ভালো। এগুলো মাটিতে রাখলে বা টয়লেটের ভেতরে রাখলে জীবাণু লেগে যেতে পারে। আপনার সঙ্গীকে এগুলো রাখার অনুরোধ করুন বা যদি ভেতরে নিয়ে যেতে হয় তবে এমনভাবে রাখুন, যাতে জীবাণু না লাগে।
দরজার হাতল বা ছিটকিনি ধরবেন না
দরজার হাতল বা ছিটকিনি স্পর্শ করবেন না। অনেক লোক টয়লেটের হাতল স্পর্শ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু এর মধ্যে থাকে। তাই এটা ধরা থেকে বিরত থাকুন অথবা টিস্যু দিয়ে হাতল স্পর্শ করুন।
হাত ধুয়ে ফেলুন
পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের পর জীবাণু থেকে সুরক্ষা পেতে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটা পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের মূল শর্ত। অনেক সময় আমরা হাত ধুতে ভুলে যাই। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত ধোয়া খুবই জরুরি।
হ্যান্ড ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন
যদি টয়লেটে হ্যান্ড ড্রায়ার বা হাত শুকানোর যন্ত্র থাকে তবে এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। হ্যান্ড ড্রায়ার থেকে যে বাতাস বের হয় তা জীবাণু ছড়াতে সাহায্য করে। তাই পরিষ্কারের পরও জীবাণু থেকে যেতে পারে আপনার হাতে।
ফ্লাশ বাটন টিস্যু দিয়ে ধরুন
ফ্লাশ বাটনও অনেক ধরনের জীবাণু বহন করে। কারণ এটিও অনেক মানুষ স্পর্শ করে। তাই ফ্লাশ বাটন চাপার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন।
ধীরে ফ্লাশ করুন
ফ্লাশ করার সময় ধীরে করুন। কেননা জোরে করলে পানি ছিটে জীবাণু ছড়ায় এবং অবশ্যই ফ্লাশ করার আগে কমডের ঢাকনা বন্ধ করে নিন।
নিচু কমোড ব্যবহার করুন
সবচেয়ে ভালো হয় উঁচু কমোড এড়িয়ে নিচু কমোড ব্যবহার করতে পারলে। কারণ, এর সাথে ত্বকের কোনো সংস্পর্শ হয় না। উঁচু কমোডে বসলে ত্বকের সাথে সংস্পর্শে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। আর যদি উঁচু কমোড ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে যেন ত্বক স্পর্শ না করে এমনভাবে বসুন। কমোডের ওপর টিসু পেপার বিছিয়ে বসতে পারেন।
টিস্যু দিয়ে মুছে নিন
উঁচু কমোডে বসতে হলে আগে টিস্যু দিয়ে বসার জায়গাটি মুছে নিন। এটি জীবাণুর সংক্রমণ থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেবে।