অভ্যুত্থানচেষ্টার দায়ে তুরস্কে ২৭ জনের যাবজ্জীবন
তুরস্কে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ও পাইলটসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আঙ্কারার আদালত এ রায় দেন।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি নিউজ জানায়, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যূত করতে অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, আঙ্কারার আদালতে ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ৫০০ জনের বিচার চলছিল। এর মধ্যে ৩৬৫ জন আগে থেকেই কারারুদ্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের সেই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ও অনেক মানুষ আহত হয়। ১৫ জুলাই রাতে যখন প্রথম তুরস্কে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন কয়েক ঘণ্টা ধরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বলেই মনে হচ্ছিল।
রাজধানী আংকারা আর সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলের প্রধান স্থাপনাগুলোতে ছিল তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দখল করে নেয় সেনাবাহিনী এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এত ঘটনার মধ্যে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের।
অভ্যুত্থানকারীদের সেই মুহূর্তে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশের এবং জনগণের সমর্থন।
কিন্তু অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলডিরিম তা প্রতিরোধের চেষ্টা শুরু করেন। তবে তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ জানত, প্রকৃত ক্ষমতা আসলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে, এবং কিছু করতে হলে তাঁকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
অভ্যুত্থান সফল হতে হলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানকারীদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।