অতিরিক্ত সময়ে গড়াল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের লড়াই
এক-দু বছর নয়। একটি শিরোপার জন্য দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা। এবার সেই অপেক্ষা হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের জোড়া গোলে সমতা ফেরাল ফ্রান্স। ফলে ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
গোলের খাতায় নাম তুলেছেন লিওনেল মেসি ও ডি মারিয়া। তাতে লুইসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথমার্ধে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
ফাইনাল মহারণ। দুদলই সমান শক্তিশালী। তবে ফেভারিটের তকমা ফ্রান্সের গায়ে। কেননা ৪ বছর আগেই বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল তারা। সেই দিক দিয়ে আর্জেন্টিনার অপেক্ষা বহু বছরের। দলের তারকা লিওনেল মেসির জন্য আরও বড় প্রতীক্ষার।
এমন লড়াইয়ের ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। আক্রমণেও দাপট দেখায় আর্জেন্টিনা। বিরতির আগে ৬০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে ৬বার আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। যার মধ্যে অনটার্গেট শট ছিল ৩টি। অন্যদিকে ম্যাচের প্রথমার্ধে একবারও আক্রমণে যেতে পারেনি ফ্রান্স।
৩৬ বছর অপেক্ষায় থাকা আর্জেন্টিনা ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই নেয় প্রথম শট। তবে অ্যালিস্টারের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দিতে ভুল করেননি হুগো লরিস।
তবে গোলের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি আর্জেন্টিনার। ম্যাচের বয়স তখন ২১ মিনিট। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে বল নিয়ে ঢুকে যান ডি মারিয়া। কিন্তু ওই মুহূর্তে ডি মারিয়াকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন উসমানে দেম্বেলে। তাতেই পেনাল্টির সুযোগ পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেননি লিওনেল মেসি। সফল স্পট কিকে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন মেসি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডি মারিয়ার পা থেকে আসে পরের গোলটি। ডান দিক থেকে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো বলে দারুণ শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি। বাকি সময় এই ব্যবধান ধরেই প্রথমার্থ শেষ করে লিওনেল স্কালোনির দল।