দুর্দান্ত বছরে শুধু টেস্টেই আক্ষেপ ওয়ার্নারের
 
২০১৬ সালটা দারুণ কাটিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বছরের শুরুটাই করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঝড়ো এক শতক দিয়ে। প্রথমবারের মতো জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সম্মানজনক অ্যালান বোর্ডার পদক। হয়েছিলেন দ্বিতীয় সন্তানের জনক। পুরো বছরজুড়েই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। কিন্তু দুর্দান্ত এই বছরে একটাই আক্ষেপ ওয়ার্নারের। টেস্ট ক্রিকেটে এ বছর তিনি কাটিয়েছেন সবচেয়ে খারাপ সময়।
২০১৬ সালে ২৩টি ওয়ানডে খেলে ওয়ার্নার করেছেন ১৩৮৮ রান। শতক করেছেন সাতটি। এক পঞ্জিকাবর্ষে এর চেয়ে বেশি শতক করতে পেরেছেন শুধু শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৯৮ সালে ভারতের এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান করেছিলেন নয়টি শতক। এ বছর ওয়ানডেতে ওয়ার্নারের ব্যাটিং গড়টাও ছিল ঈর্ষণীয়, ৬৩.০৯।
কিন্তু টেস্টে একেবারেই নিষ্প্রভ হয়ে ছিল ওয়ার্নারের ব্যাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শতক দিয়ে শুরু করলেও পুরো বছরে আর একবারও খেলতে পারেননি শতরানের ইনিংস। সব মিলিয়ে মোট ১০টি টেস্ট খেলে করেছেন ৬০৪ রান। ১৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে অর্ধশতক করতে পেরেছেন মাত্র দুটি। গড় ৩৫.৫২। এর আগে টেস্টে ওয়ার্নারের এত কম ব্যাটিং গড় দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে। সেবার ১২টি টেস্ট খেলে ৯০৯ রান করেছিলেন ৩৯.৫২ গড়ে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ বছরের শেষ টেস্টে অবশ্য পরিসংখ্যানটা আরেকটু সমৃদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে ওয়ার্নারের সামনে। কিন্তু সত্যিই ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাবে। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটা ওয়ার্নারকে খেলতে হবে মেলবোর্নে। আর এটাই অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ভেন্যু, যেখানে এখনো পাননি শতকের দেখা। এটাই একমাত্র ভেন্যু যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ৫০-এর কম। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়ার্নারের গড় মাত্র ২৪.২২।

 
                   স্পোর্টস ডেস্ক
                    স্পোর্টস ডেস্ক
         
 
 
 
