পাক-ভারত মলিন, বারুদ এখন বাংলাদেশ-ভারতে
একটা সময় ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনার বারুদে ঠাঁসা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। দুই দলের লড়াইটা এখন যেন অনেকটা একপেশে হয়ে গেছে। কারণ দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা সে রকম হয় না এখন। ভারতের বিপক্ষে সে জায়গাটা এখন দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের তুলনা বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচই অনেকবেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয় বলে মনে করে অনেকেই। সেই দলে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তা ছাড়া ভারতও এখন বাংলাদেশকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয় বলেও মনে করেন তিনি।
আসলেও তাই, কয়েক বছর ধরে দারুণ জমে উঠেছে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট দ্বৈরথ। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সেটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশ্বকাপের পরই ভারতকে ঘরের মাঠে সিরিজ হারায় মাশরাফিরা। তখন থেকেই স্বপ্নের মতো ক্রিকেট খেলছে টাইগার শিবির। তাই ভারতও আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ব্যাটেল অব চ্যাম্পিয়নসে বাংলাদেশ দলের খুবই প্রশংসা করেন হাবিবুল। সে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এবং আমি বিশ্বাসও করি— ভারত এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশকে। বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক বেশি পরিকল্পনাও করে তারা। কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা বেশ চাপেও থাকে। সে তুলনা বাংলাদেশের চাপটা কম থাকবে।’
তাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের তুলনায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয় বলেও মনে করেন জাতীয় দলের এই নির্বাচক, ‘হ্যাঁ, আমি মানি একটা সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হতো। কিন্তু দুই দলের লড়াইটা এখন যেন অনেকটা একপেশে হয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে সে জায়গাটা এখন দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশের সাফল্যকে এখন অঘটন বলাতেও আপত্তি হাবিবুলের। এ ব্যাপারে তিনি, ‘বাংলাদেশের জয়কে যারা চমক বলেন বা অঘটন বলেন— এতে আমার আপত্তি আছে। কারণ আমরা এখন আর সেই অবস্থায় নেই, সেই দিনটা ফেলে এসেছি। তা ছাড়া আইসিসির র্যাংকিংয়ে ছয়ে উঠে এসেছে দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো একটা বড় আসরের সেমিফাইনালে উঠেছি।’
বরং সেমিতে উঠতে না পারাটা অঘটন হতো বলেও মনে করেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্বাচকের, ‘সত্যি কথা বলতে কি বাংলাদেশের এখন আর প্রমাণ করার কিছু নেই। বরং সেমিতে উঠতে না পারা হতো অনেক বেশি ব্যর্থতা হতো আমদের জন্য। আমার সেই জায়গায় পৌঁছে গেছি। আমরা নিজেদের সেই রকম ভাবতেও পারি।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক