পাকিস্তান দলে সামি-শারজিল
এশিয়া কাপ খেলতে ঢাকায় আসার কথা ছিল ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও বাঁ-হাতি পেসার রুম্মান রাইসের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন দুজনে। কিন্তু চোটের কারণে কোনো টুর্নামেন্টেই খেলতে পারছেন না আজম-রাইস। তাঁদের জায়গায় মোহাম্মদ সামি আর শারজিল খানকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান।
পিএসএল বা পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন সামি আর শারজিল। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ফাইনালে নিয়ে যেতে দুজনেরই বিশাল অবদান। মঙ্গলবার ফাইনালের আগে পর্যন্ত টুর্নামেন্টের একমাত্র শতক এসেছে শারজিলের ব্যাট থেকে। তৃতীয় কোয়ালিফাইং ফাইনালে তাঁর ৬২ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে পেশোয়ার জালমিকে ৫০ রানে হারিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। ২৮৭ রান নিয়ে শারজিল আপাতত টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
গত বছরের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা সামির কীর্তিও কম নয়। করাচি কিংসের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং ফাইনালে মাত্র আট রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইসলামাবাদের সহজ জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সামি-শারজিলকে দলে নেওয়ার পেছনে পিএসএলই যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে সে কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হারুন রশিদও, ‘পিএসএলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিবেচনা করার পর নির্বাচন কমিটি, অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি আর প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনিসের সিদ্ধান্ত, চোটগ্রস্ত বাবর আজম ও রুম্মান রাইসের জায়গায় এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শারজিল খান ও মোহাম্মদ সামিকে নেওয়া হবে।’
শুধু সামি-শারজিল নন, আরেকটি পরিবর্তনও এসেছে পাকিস্তান দলে। ছন্দে না থাকা ইফতিখার আহমেদের বদলে সুযোগ পেয়েছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের আরেক সদস্য খালিদ লতিফ। পিএসএলে ছয় ইনিংসে ১৯০ রান করা লতিফের স্ট্রাইক রেটই (১১৪.৪৫) মুগ্ধ করেছে পাকিস্তানের নির্বাচকদের।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের প্রথম প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। ম্যাচটি হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।

স্পোর্টস ডেস্ক