স্যামির ব্যাটে তামিমদের বিদায়

বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে লড়াইটা হলো যেন দুই অধিনায়কের। চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবালের পর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও। বাঁচামরার এই লড়াইয়ে শেষ হাসিটাও হাসলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ২৭ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন ৩ উইকেটের দারুণ জয়। রাজশাহীও ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল আরেক ধাপ।
১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি রাজশাহী কিংসের। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ৩৯ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল মুমিনুল হক, আফিফ হোসেন ও সাব্বির রহমানের উইকেট। রান সংগ্রহের গতিও অনেক কমে গিয়েছিল রাজশাহীর। দশম ও একাদশ ওভারে তারা হারিয়েছিল আরো তিনটি উইকেট। ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন নুরুল হাসানও। ১১ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিল ৫৭/৬। জয়ের আশা ফিকে হয়ে এসেছিল অনেকটাই। কিন্তু দলের দুঃসময়ে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাতটি চার ও দুটি ছয় মেরে এই ৫৫ রান করেছেন মাত্র ২৭ বল মোকাবিলা করে। শেষপর্যায়ে ফরহাদ রেজার ১৯ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ১০ রানের ছোট ইনিংস দুটিও ভালো অবদান রেখেছে রাজশাহীর জয়ের পেছনে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৫১ ও ক্রিস গেইলের ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৪২ রান জমা করেছিল চিটাগং ভাইকিংস।
এই হারের ফলে বিপিএল থেকে বিদায় নিতে হলো তামিমের দলকে। আর ড্যারেন স্যামির রাজশাহী কিংস আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ফাইনালের দিকে। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে জায়গা করে নিতে হলে রাজশাহীকে অবশ্য পেরোতে হবে আরেকটি বাধা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তাদের খেলতে হবে ঢাকা ডায়নামাইটস ও খুলনা টাইটানসের মধ্যকার ম্যাচে পরাজিত দলের বিপক্ষে।