মিরপুরের উইকেট বদলানো নিয়ে যা বললেন বুলবুল
মিরপুরের উইকেট বরাবরই বোলিং সহায়ক। বিশেষ করে স্পিনাররা এখানে বেশি সুবিধা পায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই সিরিজে শেরেবাংলার উইকেট আলোচনায় এসেছিল উইকেটের রংয়ের কারণে। কুচকুচে কালো উইকেট দেখা গেছে মিরপুরে। যেটি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেখানে উইকেট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। আভাস দিয়েছেন মিরপুরসহ দেশের সকল উইকেটেই পরিবর্তন আনার।
মিরপুরের উইকেট বদলে ফেলার কথা জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘মিরপুরের উইকেটটা খুবই একটা কমপ্লিকেটেড জিনিস। তবে যেহেতু এই মাটিটা দেখতে পাচ্ছি যে, ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হচ্ছে না। সুতরাং এখানে আমাদের ভবিষ্যতে কি করা যায় (সেটি নিয়ে চিন্তা করছি)। এমনও হতে পারে যে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আস্তে আস্তে দুটো দুটো করে পিচ আমরা অন্য মাটিতে দিয়েও ট্রাই করে দেখবো।’
বিসিবি সভাপতি নিজেই গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান। আইসিসি, এসিসিতেও ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছেন তিনি। গুঞ্জন ছিল, আপাতত উইকেটের সমাধান করতে হাইব্রিড উইকেটের কথা চিন্তা করছে বিসিবি। আজ বুলবুলের কাছেই জানতে চাওয়া হয়, উইকেট নিয়ে কোনো প্ল্যান আছে কি-না?
বুলবুল বলেন, ‘আমরা এই পুরো বাংলাদেশের যত ক্রিকেট ভেন্যু আছে, ভবিষ্যতে যেই ভেন্যুগুলো আমাদের দরকার হবে, সে সবগুলো নিয়ে পরিকল্পনা করছি। আমরা কিছু লং টার্ম, মিড টার্ম এবং শর্ট টার্ম পরিকল্পনা করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একেকটা উইকেট একেক ধরনের অবস্থায় আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে আমরা কিভাবে টেস্ট ফ্রেন্ডলি, ওয়ানডে ফ্রেন্ডলি এবং টি-টোয়েন্টি ফ্রেন্ডলি করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। তবে এটা অনেক বেশি টেকনিক্যাল একটা কাজ এবং এক্ষেত্রে আস্তে আস্তে আমরা এগোতে চাচ্ছি।’
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সেভাবে রান হয়নি। কোনোমতে দুইশ ছাড়ানো স্কোর দেখা গেছে। তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে অবশ্য বাংলাদেশ ভালো করেছে। এক সময় মনে হচ্ছিল, সাড়ে তিনশ করে ফেলবে বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনশও পার করতে পারেনি।
তৃতীয় ম্যাচের উইকেটে কোনো পরিবর্তন ছিল কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে বুলবুল বলেন, ‘প্রথম দুটো ম্যাচে উইকেট যে দেখেছিলাম, উইকেট একটু ধীর গতি ছিল। মিরপুরের মাটিটাই আসলে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, একটু স্লো ধরনের। এর আগে দেখতে পেয়েছিলাম যে, এই উইকেটটাকে আরও সচল করার জন্য বা পেস জেনারেট করার জন্য কিছু মরা ঘাস দেওয়া হতো। তো এবার মরা ঘাস না দিয়ে যে এক্সপেরিমেন্টটা করেছিল, সেটাতে উইকেটের গতিটা বেশ স্লো ছিল। আজকে যেটা মনে হয়েছে যে উইকেটটা বেশ শুকনো ছিল এবং ময়েশ্চার কম ছিল। বাট যেহেতু এটা একটা স্পেশালিস্ট জিনিস, আমি এর বেশি ডিটেইল মন্তব্য করতে পারবো না।’

স্পোর্টস ডেস্ক