জন্মদিনে চাওয়া, সুস্থ হয়ে সেরাটা দিক নেইমার
প্রতিভার অপচয় কিংবা চোট—সে যা-ই হোক, ফুটবলে নেইমার সবসময়ই আলোচিত নাম। প্রচণ্ড প্রতিভা নিয়ে ফুটবলে আসা নেইমারকে ভাবা হয়েছিল ব্রাজিলের আশার প্রদীপ। তাতে অবশ্য ঘিয়ের বদলে পানি ঢেলে দিয়েছেন নেইমার। তবু, তিনি সুপারস্টার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির পর সময়ের তৃতীয় সেরা ফুটবলার হতে পারতেন নেইমার।
চাইলেই সবসময় সবকিছু পাওয়া হয় না। নেইমারও হতে পারেননি কালজয়ী। ব্রাজিল ফুটবল নিয়ে প্রচলিত আছে, ব্রাজিলের অলিগলিতে কিংবদন্তি তৈরি হয়। আবার প্রতিভার সবচেয়ে বেশি অপচয় হয় ব্রাজিলেই। নেইমার মুদ্রার দুটো পিঠই দেখেছেন।
সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলের স্মৃতিধন্য সান্তোস ক্লাব দিয়ে যাত্রা শুরু নেইমারের। সেখানে তাকে দেখে সবাই বুক বেঁধেছিল আশায়। দীর্ঘদিনের বিশ্বকাপখরা বুঝি তার পায়েই কাটবে! ২০২৩ সালে ব্রাজিলকে কনফেডারেশন্স কাপ জেতানো নেইমার ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলছিলেন প্রত্যাশা অনুযায়ীই। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়া চোটে ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যাচ্ছিল তার।
নেইমার ফিরেছেন। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে মেসি-সুয়ারেজকে নিয়ে গড়েছেন ফুটবল দুনিয়ার অন্যতম ভয়ংকর আক্রমণভাগ—এমএসএন ত্রয়ী। বার্সা অধ্যায় শেষে যোগ দেন ফরাসি ক্রাব পিএসজিতে। কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের নিয়ে সেখানেও সফল নেইমার। তবে, ক্যারিয়ারজুড়ে চোট পিছু ছাড়েনি তার। নইলে হয়তো সমকালের সেরাদের একজন হওয়ার পাশাপাশি সর্বকালের অন্যতম সেরাদের কাতারে নাম লেখাতে পারতেন।
নেইমার এখন সৌদি ক্লাব আল-হিলালে খেলছেন। যদিও, মাঠের বাইরে তিনি। কারণ, সেই চোট! এতটাই যে, এক সময়ের জনপ্রিয় নেইমার এখন হাস্যরসের পাত্র। তাকে নিয়ে ক্লাব কর্তারা আগে থেকেই বিরক্ত। ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ তো বলেই দিয়েছেন, নেইমারকে ছাড়া মানিয়ে নিতে শিখতে হবে দলকে।
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে জন্ম নেওয়া নেইমারের সামনে এখনও সুযোগ আছে দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার। তিনিও নিশ্চয়ই চান। তার আগে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে তাকে। ফিরে আসতে হবে সান্তোস কিংবা বার্সার সেই অদম্য নেইমার। সেই প্রত্যাশায় নেইমারকে ৩২তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা।