বিরাট কোহলিকে শাস্তি দিল আইসিসি
বক্সিং ডে টেস্টে প্রথম দিনে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াইটা হয়েছে দারুণ। তৃতীয় সেশনে জাসপ্রিত বুমরাহ এর কল্যাণে অসিদের খুব বেশি এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তবে, দিনের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় কোহলি-কনস্টাস। খেলার মাঝপথে তরুণ এই অসি ব্যাটারকে ধাক্কা দেন কোহলি। দিনের খেলাশেষে এমন আচরণের জন্য কোহলিকে শাস্তি দেয় আইসিসি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রথম দিনের খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট কোহলিকে এই সাজা দেন। আইসিসির আচরণবিধির ২.১২ ধারায় বলা আছে, ক্রিকেট শারীরিক সংঘর্ষের খেলা নয়। অযাচিতভাবে যেকোনো ধরণের শারীরিক সংঘর্ষ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। কোন খেলোয়াড় যদি ইচ্ছাকৃতভাবে, বেপরোয়া হয়ে বা উপেক্ষা করে এমন কিছু করে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে একটি ডেমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের তখন দশম ওভার। মোহাম্মদ সিরাজের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভারটি শেষ করার পর হাতের গ্লাভস খুলতে খুলতে অন্য প্রান্তের সতীর্থ ব্যাটসম্যান উসমান খাজার দিকে যাচ্ছিলেন অভিষিক্ত স্যাম কনস্টাস। তখন উল্টো দিক থেকে বল হাতে এগিয়ে আসছিলেন বিরাট কোহলি। অনেকটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ১৯ বছর বয়সী কনস্টাসের দিকে এগিয়ে এসে তার কাঁধে ধাক্কা মারেন কোহলি।
এরপর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে খাজা গিয়ে দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। প্রথমে কনস্টাসকে কিছু একটা বলার পর কোহলির কাঁধে হাত রাখেন খাজা। ততক্ষণে মাঠের আম্পায়ারেরাও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এই বিষয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন ‘কোহলি ওই মুহূর্তের কথা মনে করে গর্ব অনুভব করবে না। কনস্টাস স্রেফ হেঁটে যাচ্ছিল। কোহলিকে দেখুন, সে তার পথের দিক পাল্টেছে। যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং সর্বকালের সেরা কিংবদন্তিদের একজন হিসেবে কোহলি অবশ্য কৃতকর্ম নিয়ে ভাববে।’