নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ
সেরা চারের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু এখন মলিন হওয়ার পথে। টানা দুটি ম্যাচে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরনো রূপ আবারও বেরিয়ে এসেছে। সেসব ভুলে জয়ের খোঁজে সোমবার (১৩ অক্টোবর) চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামছে টাইগ্রেসরা। ভারতের বিশাখাপত্তনম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায় প্রোটিয়া বধের মিশনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টস ও সনি-১ এ। অনলাইনে ট্যাপম্যাড অ্যাপে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকেও চোখ রাঙানি দিয়েছিল। আম্পায়ারের বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত নাহলে হয়তো সে ম্যাচটিও জিতেই যেতো টাইগ্রেসরা।
তবে তৃতীয় ম্যাচে আগের দুই ম্যাচের বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। পুরনো ব্যাটিং ব্যর্থতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নিউজিল্যান্ডকে স্পিন ঘূর্ণিতে পরাস্ত করে ২২৭ রানেই আটকে দিয়েছিল বোলাররা। কিন্তু সেই রান তাড়ায় নেমে টপঅর্ডার কিংবা মিডলঅর্ডার, সবাই ফিরেছেন খালিহাতে ব্যর্থ হয়ে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় কোনোমতে ১০০ পার করে ১২৭ রানে থেমেছিল বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে হলেও ব্যাটিং পরীক্ষায় পাশ করতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে টপঅর্ডার ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু এনে দিতে হবে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক আর শারমিন আক্তার সুপ্তাকে। টুর্নামেন্টে শুরুর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরির যে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন শারমিন সেটি পূরণ করতে হবে।
একই সঙ্গে জ্বলে ওঠতে হবে মিডল অর্ডার ব্যাটারদেরও। বিশেষ করে বিশাখাপত্তনমের ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে বড় ভূমিকা রাখতে হবে ব্যাটারদেরই। যেখানে বোলারদের কিছু করার থাকে নিতান্তই সামান্য।
অবশ্য পরিসংখ্যানে এক হ্রাস হতাশা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত মোট ২১ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় মোটে ৩টি ম্যাচে। বাকি ১৮ ম্যাচেই জিতেছে প্রোটিয়ারা।
বিশ্বকাপের বড় আসরে এখন পর্যন্ত দুইবার দেখা হয়েছে দুই দলের। দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে বিশ্বকাপের মূলপর্বে আর ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে।
তবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি জ্বলে ওঠতে পারে তাহলে যে কোনো দিনই বাংলাদেশের হয়ে যেতে পারে। কারণ গত বছর দুয়েকের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চেও দুর্দান্ত ছন্দে আছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে নতুন বলে পেসার মারুফা আক্তার এখন যে কোনো ব্যাটারদের জন্যই বড় হুমকির কারণ। তার ইনসুইং আটকানো বেশ কষ্ট সাধ্য কাজ। সঙ্গে স্পিন বিভাগে নাহিদা আক্তার, ফাহিমা আক্তারাও বেশ ভালো করছেন।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। ইতোমধ্যে তিন ম্যাচ খেলে এক জয় আর দুই হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চয় নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে দুই জয় আর এক হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এ ম্যাচে তাদের হারাতে পারলে চার নম্বরে চলে যাবে বাংলাদেশ।