রিশাদের ঝলকে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

পাওয়ার-প্লের পরে প্রথমবার রিশাদ হোসেনকে বোলিংয়ে এনেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি তিনি। প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। সেই ধরা চলমান রাখলেন তিনি এর পরেও। রিশাদ ঝলকের সাফল্যে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।
১২ ওভারে আথানেজকে ফেরালেও বেশ ভালোভাবেই আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তিন নম্বরে নামা কেসি কার্টি। ২০তম ওভারে কার্টিকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। ৩০ বলে ৮ রান করেন ফেরেন কার্টি।
নিজের পরের ওভারে এসে আরও ভয়ঙ্কর রিশাদ। এক ওভারেই জোড়া আঘাত হানলেন তিনি। ওভারের প্রথম বলেই ফেরালেন একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার কিংকে। টার্ন করে বেড়িয়ে যাওয়া বল আলতো করে কিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেট রক্ষক সোহানের গ্লাভসে। ৬০ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন তিনি।
ওভারের তৃতীয় বলে শেরফান রাদারফোর্ডের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের জন্য রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে বেঁচে যান তিনি। তবে পরের বলে আর রক্ষা পাননি এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। চতুর্থ বলে তিনিও সোহানের হাতে ক্যাচ দেন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি।
নিজের পরের ওভারে এসে ৬ নম্বরে আসা রস্টন চেজকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন রিশাদ। তিনিও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে সোহানের হাতেই। ফেরার আগে ১০ বলে করেন ৬ রান।
সবমিলিয়ে চার ওভারের মাঝে দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। ৯২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবগুলো উইকেটই পেয়েছেন রিশাদ।
অবশেষে উইকেট এনে দিলেন রিশাদ
শুরুর ২ ওভার বাংলাদেশ বেশ ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল সফরকারীদের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন সেটি মিলিয়ে গিয়েছিল। উল্টো তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের পরীক্ষা নিতে শুরু করেছিলেন ব্র্যান্ডন কিং-আলিক আথানেজ।
পাওয়ার-প্লে পর্যন্ত সফলও ছিলেন তারা। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ চারজন বোলার ব্যবহার করলেও কেউই সাফল্য এনে দিতে পারেননি। বরং তাদের অপেক্ষা বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনার।
১২তম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন রিশাদ হোসেন। তিনি এবার আর হতাশ করেননি। ওভারের শেষ বলে ওপেনার আথানেজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান তিনি। ৩৬ বলে ২৭ রান করে আথানেজ ফিরলে ভাঙে ৭২ বলে ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো না হলেও সেই ধাক্কা বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। যদিও এদিনও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২০০ পার করা পুঁজি দাঁড় করায় টাইগাররা। ২০৭ রান তুলে ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।