টানা ক্রিকেটে ক্লান্তি ভর করেছে বাংলাদেশ দলে
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খুব একটা ভালো খেলছে না বাংলাদেশ। নেই ধারাবাহিকতা। কোনো সিরিজে দেখা গেল ওয়ানডেতে ভালো করছে, পরের সিরিজে আবার ব্যর্থ। টি-টোয়েন্টিতে আজ ভালো তো কাল ভীষণ মন্দ। ব্যাটাররা যেদিন ভালো করেন, বোলাররা ব্যর্থ হন। বোলাররা জ্বলে উঠলে ব্যাটারদের খুঁজে পাওয়া যায় না। যেদিন মোটামুটি দুই বিভাগই জ্বলে ওঠে, সেদিন দেখা যায় ফিল্ডিংয়ে ভরাডুবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক ম্যাচে সাতটি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ম্যাচ, হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দলের ক্রিকেটারদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশ্রামের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটে হারের পর লিটন জানান, টানা কয়েক মাস ক্রিকেট খেলার কারণে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত মনে হচ্ছে।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘মাঝে মাঝে খেলোয়াড়রা ক্লান্তির মধ্য দিয়ে যায়। আপনি সবটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সবকিছু আপনার পক্ষে যায় না। আমার মনে হয় ছেলেরা একটু ক্লান্ত। একটি ছোট বিরতি তাদের চাঙ্গা হয়ে ফিরতে এবং আরও শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে।’
সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা বিশ্রামের খুব একটা সুযোগ পাননি। এশিয়া কাপের আগে তারা এক মাসেরও বেশি সময় ক্যাম্প করেন, এরপর খেলেন মূল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্ট শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নেন। দেশে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই তারা আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমে পড়েন।
অধিনায়ক লিটন মনে করেন, এই লাগাতার খেলার সূচি ক্রিকেটারদের শরীর ও মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ‘সবাই অনেক দিন ধরে টানা ক্রিকেট খেলছে। যখন আপনি নিয়মিত খেলেন, তখন অনেক কিছুই আপনার অনুকূলে যায় না। আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে এখনকার এই দশ দিনের একটি বিরতি সবাইকে সতেজ হতে সাহায্য করবে।’
এই বিরতি অবশ্য খুব বেশি দীর্ঘ হচ্ছে না। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ, যার পর তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে তারা। এর পরপরই শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন আসর।

স্পোর্টস ডেস্ক