প্রথম বিশ্বকাপের দেখা পেল পর্তুগাল
ফুটবলীয় এক জীবনে প্রায় সব কিছুই জেতা হয়েছে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তবে আক্ষেপ একটাই—এখনো বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি। সেই আক্ষেপ অবশ্য পুরো পর্তুগিজদেরই। কারণ কখনোই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দেশটি। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হলো যুবাদের হাত ধরে। অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের আনন্দ নিয়ে আসল পর্তুগিজ যুবারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। ফাইনালে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন বেনফিকার সেন্টার ফরোয়ার্ড আনিসিও কাবরাল।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল পর্তুগালেরই। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১০টি শট নেয় পর্তুগাল। এর মধ্যে মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। অন্যদিকে, অস্ট্রিয়া ৪২ শতাংশ বল দখলে রেখে আটটি শট নিয়ে পাঁচটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বেনফিকার সেন্টার ফরোয়ার্ড কাবরাল। পুরো ম্যাচে তার সেই গোলকে পুঁজি করে রেখে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পায় পর্তুগাল। ফাইনালে গোল করে পর্তুগালকে ট্রফি জেতানো কাবরাল টুর্নামেন্টে গোল করেছেন সাতটি। গোল্ডেন বুটজয়ী অস্ট্রিয়ার জোহানেস মোজের করেছেন আট গোল।
এর আগে সেমিফাইনালে ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি ব্রাজিলকে হারিয়েছিল পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে জয় তুলে নেয় পর্তুগিজরা। আরেক সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল অস্ট্রিয়া।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারের আসরই সবচেয়ে বড়। এবারই প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে ১০০ ম্যাচে গোল হয়েছে ৩০০’র বেশি।
সেমিফাইনালের মতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ব্রাজিলকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে ইতালির কাছে ৪-২ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল।

স্পোর্টস ডেস্ক