দুবাইয়ের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পাচ্ছেন জেটপ্যাক
সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার বা চলচ্চিত্রে প্রায়ই দেখা যায়, ‘জেটপ্যাক’ নামের এক অত্যাশ্চর্য যন্ত্র। যার ফলে মানুষ দিব্যি উড়ে বেড়াতে পারে। এবার বাস্তবেই দেখা যাবে জেটপ্যাকের ব্যবহার। দুবাইয়ের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা পাচ্ছেন এই অদ্ভুত যন্ত্র। এ খবর জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়্যার্ড।
বহুতল ভবনের জন্য দুবাই বিখ্যাত। এই শহরে মোট ৯১৬টি বহুতল ভবন আছে। যখন কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটে, তখন এসব উঁচু ভবনে তীব্র হাওয়ার কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভীষণ বেগ পেতে হয় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের।
তাই নগরের হর্তাকর্তারা ‘মার্টিন জেটপ্যাক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জোট বেঁধেছেন, যাতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা জেটপ্যাক ব্যবহার করে আরো নিপুণভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন।
দুবাইয়ের সিভিল ডিফেন্স ইউনিটের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী আলমুতাওয়ার ভাষ্যমতে, ‘প্রাথমিকভাবে ২০টি জেটপ্যাক কেনা হবে। থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা যুক্ত এই জেটপ্যাকগুলোর সাহায্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বহুতল ভবনের মাঝ দিয়ে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ করতে পারবেন।’
একেকটি মার্টিন জেটপ্যাক ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। ভি৪ ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই জেটপ্যাকগুলো ১০০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। দুবাইয়ের সর্বোচ্চ দালান, বুর্জ আল খলিফার উচ্চতা হলো ৮২৮ মিটার।
অবশ্য শুধু যে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরাই জেটপ্যাক পাচ্ছেন এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। মার্টিন জেটপ্যাকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন সেনাবাহিনী অথবা গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও জেটপ্যাক ব্যবহার করবেন।

অমর্ত্য গালিব চৌধুরী