ড্রোন নিয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর নতুন পরিকল্পনা
ড্রোন বিমানের ব্যবহার আরো বাড়াতে চাইছে মার্কিন বিমানবাহিনী। আর সে কারণে তাদের দরকার দক্ষ জনবল। ড্রোন বিমান চালানোর জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার নতুন লোকবল নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
চালকবিহীন বা দূরনিয়ন্ত্রিত বিমানকে বলা হয় ড্রোন বিমান। এসব বিমানের ভেতরে কোনো পাইলট থাকে না, তবে দূর থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে এসব বিমান চালান একজন প্রশিক্ষিত পাইলট। সাধারণ যুদ্ধবিমানের মতোই এসব বিমান যেকোনো স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম। তবে কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে বিমানটি ধ্বংস হলেও পাইলটরা অক্ষত থাকবেন। পাইলটদের রক্ষার জন্য এসব বিমানের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে মার্কিন বিমানবাহিনী।
বিমানবাহিনীর তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। আর এই পরিকল্পনা মোতাবেক নতুন সাড়ে তিন হাজার লোকের মধ্যে পাইলট এবং ক্রু ছাড়াও বিভিন্ন পদে লোক নেওয়া হবে।
আর এই নতুন লোকবলের সমন্বয় সাধনের জন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলোকে। ফ্লাইং স্কোয়াড্রনের সংখ্যা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১৭টি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে পাইলটদের। প্রতি ঘাঁটিতে পাইলট ও ক্রু মিলিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন লোকবল রাখা হবে।
বর্তমানে নেভাদার একটি বিমান ঘাঁটি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়। নেভাদার ঘাঁটিতে প্রায় তিন হাজার সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি কাজ করেন।
ড্রোন বিমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই কাজ করছে। কিন্তু এর জন্য আলাদা করে কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি কখনো। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ড্রোন বিমান চালানোর বাড়তি দায়িত্ব থাকায় পাইলটরা নানা সময়ে কাজের চাপে হতাশায় ভুগছিলেন। আর সে কারণেই জনবল বাড়িয়ে পাইলটদের চাপমুক্ত রাখা এবং ড্রোন বিমানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় বিমানবাহিনী।

ফাহিম ইবনে সারওয়ার