সমুদ্রের নিচে হবে ডাটা সেন্টার
আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ বজায় রাখতে প্রয়োজন পড়বে অধিক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টারের। আর সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে সমুদ্রের তলদেশে ডাটা সেন্টার তৈরি করতে চায় তারা। আর সেজন্য গবেষণা শুরু করেছেন মাইক্রোসফটের প্রকৌশলী ও গবেষকরা। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
সমুদ্রের ১০০ ফুট নিচে একটি পরীক্ষামূলক ( প্রোটোটাইপ) ডাটা সেন্টার তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। প্রকৌশলীরা বলছেন, সমুদ্রের নিচের ডাটা সেন্টারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনেক সুবিধাজনক। এর ফলে আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দরকার হয় না। ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে আসে।
আজকাল আমরা ইন্টারনেটে ভিডিও স্ট্রিমিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও মেইল আদান প্রদান যাই করি না কেন তার মূল শক্তি হচ্ছে ডাটা সেন্টার।
হাজার হাজার কম্পিউটার সার্ভার থাকে ডাটা সেন্টারে। আর এসব সার্ভারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সার্ভারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা থাকে।
সে ক্ষেত্রে সমুদ্রের নিচে ডাটা সেন্টারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হবে। এতে বিদ্যুৎ খরচও কমে আসবে। টারবাইন বা জলবিদ্যুতের মাধ্যমে এই ডাটা সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
মাইক্রোসফটের এই প্রকল্পের কোড নেম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট নাটিক’। এই প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী বেন কাটলার বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এই ব্যাপারটা শুনি, তখন আমার মনে হয়েছিল, পানি? বিদ্যুৎ? এগুলো দিয়ে আমরা কী করব? তবে আপনি যদি গভীরভাবে বিষয়টা ভেবে দেখেন— এটা আসলেই তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়া পাল্টে দিতে পারে।’
সমুদ্রের নিচে ডাটা সেন্টার স্থাপনে সময়ও কম লাগবে। ভূপৃষ্ঠে ডাটা সেন্টার তৈরি করতে যেখানে দুই বছর সময় লাগে সেখানে সমুদ্রের নিচে মাত্র ৯০ দিনে ডাটা সেন্টার বানানো সম্ভব।

ফাহিম ইবনে সারওয়ার