অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে তরুণদের রাজপথে বিক্ষোভের আহ্বান ইমরান খানের
অনাস্থা ভোটকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসে তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনাস্থা ভোট নিয়ে তাঁর কাছে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাতির উদ্দেশে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার কিছুক্ষণ আগে শুরু হওয়া এক ভাষণে এমন আহ্বান জানান ইমরান খান। প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণটি টেলিভিশন, রেডিও ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারিত হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এর অনলাইন প্রতিবেদনে এমনটি জানা গেছে।
ইমরান খান বলেন, আপনাদের টেলিফোন কল পাওয়ার আগে আমি দেশের মানুষজনের উদ্দেশে ৫ মিনিট কথা বলতে চাই। কারণ, কঠিন মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে তরুণদের আগামীকাল রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে শুরুতেই ইমরান খান বলেন, ‘এটি একটি যুদ্ধ এবং তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য।’
ইমরান খান বলেন, দুটি পথ খোলা রয়েছে, আমরা যেকোনো একটি বেছে নিতে পারি। আমরা কি ধংসযজ্ঞের পথে যাব নাকি আমাদের গর্বের পথে যাব? এই পথে প্রতিবন্ধকতা আছে, কিন্তু এটিই আমাদের নবীজী (সা.)-এর পথ। এটিই আমাদের রবের পথ। এই পথ আমাদের দেশে বিপ্লব এনে দিয়েছে।’
তরুণদের উদ্দেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চুপ করে বসে থাকা যাবে না। আপনারা যদি নীরব থাকেন, তাহলে খারাপের পক্ষে থাকবেন। আমি চাইব, আপনারা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান কথা বলেন। আমার জন্য নয়, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্যই।’
ইমরান খান বলেন, ‘যুক্তরাজ্য যখন অবৈধভাবে ইরাক আক্রমণ করে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। সেখানে ২০ লাখের মতো মানুষ তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তবে তা সহিংস ছিল না, একটি পানির পটও ভাঙা হয়নি। আমিও তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলাম। কোনো রাজনৈতিক দল তাদের রাস্তায় নামতে বলেনি। তারা নিজেদের জন্যই এটি করেছিল। একটি জাতি যে জাগ্রত, এটিই তার আলামত।’
তবে তরুণদের প্রতি সামরিক বাহিনীর সমালোচনা না করারও আহ্বান জানান ইমরান খান।
যারা ‘জাতির সঙ্গে বেইমানি’ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা তাদেরকে ছেড়ে দিব না। সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ রাতে।’
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন ঘটাতে পার্লামেন্টে ১৭২ ভোটের প্রয়োজন হয়। এমকিউএম-পি ইমরান খানের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তার বিপক্ষে ১৭২ ভোট পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।