নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায় কারাবন্দি ইমরান
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ কারায় তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার (৩০ মার্চ)ন তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (২৯ মার্চ) ভোরে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) এই ঘোষণা দেয়। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পিডব্লিউএ একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। এর সদস্যরা নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের সঙ্গে যুক্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম জানায়, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার অধিকার রয়েছে—এমন ব্যক্তির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য মনোনীত করেছি।’
এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রচারের প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।
প্রতিবছর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি কয়েকশত মনোনয়ন পেয়ে থাকে। পরবর্তীতে আট মাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি রয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল চতুর্থ বড় মামলা যেখানে ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, গোপনীয়তা ফাঁস এবং বেআইনি বিয়ে সম্পর্কিত তিনটি দোষ আদালত কর্তৃক বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছিল। ইমরান খান তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন, এগুলোকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক