ইমরান খানকে নিয়ে গুজব, কারাগারে সাক্ষাৎ চায় পরিবার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার দল। এ অবস্থায় কারাবন্দি নেতার সঙ্গে দ্রুত পরিবারের সদস্যদের দেখা করার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইমরান খানের বোনদের তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে তারা ইমরান খানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, এক্সসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর ‘গুজব’ ছড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে এক্সে ‘ইমরান খান কোথায়?’ হ্যাশট্যাগটি ট্রেন্ড করতে শুরু করে। খবর ডন ও জিও নিউজের।
অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে আদিয়ালা কারাগার প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, ইমরান খানকে কোথাও স্থানান্তর করা হয়নি। তিনি আদিয়ালা কারাগারেই রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদিয়ালা কারাগার থেকে তার স্থানান্তর সংক্রান্ত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।’
এর আগে এক বিবৃতিতে পিটিআই জানিয়েছে, আফগান, ভারতীয় গণমাধ্যম ও বিদেশি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে এই গুজবগুলো ছড়ানো হচ্ছে। দলটি সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করে বলেছে, সরকারকে অবিলম্বে এই গুজবগুলো অস্বীকার করতে হবে। একই সঙ্গে ইমরানের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে স্বচ্ছ বিবৃতি দিতে হবে।
বিবৃতিতে পিটিআই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাদের নেতার অবস্থান নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা জাতি বরদাশত করবে না। ইমরান খানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সরাসরি দায়িত্ব।
গতকাল বুধবার আদিয়ালা কারাগারের বাইরে অবস্থান ধর্মঘটও করেছেন ইমরান খানের সমর্থকরা।
পিটিআই নেত্রী মেহের বানু কুরেশি এক্সে লেখেন, ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজবগুলো উদ্বেগজনক। এই গুজব বন্ধ করার সবচেয়ে ভালো ও বিশ্বাসযোগ্য উপায় হলো খান সাহেবের বোন, আইনজীবী ও দলীয় সদস্যদেরকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া।
এদিকে কারাগারে ইমরান সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে কারাগারে আগের তুলনায় বেশ আরামে আছেন।
আসিফ দাবি করেন, ইমরানের জন্য যে খাবারের মেনু আসে—সেটি পাঁচ তারকা হোটেলেও পাওয়া যায় না। কারাগারে তার জন্য টেলিভিশন, ‘ডাবল বেড এবং ভেলভেট বিছানা’ ও ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রয়েছে। জেলের সুপারিনটেনডেন্ট ব্যক্তিগতভাবে তার দেখাশোনা করেন।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়েছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক