অবশেষে পদত্যাগে রাজি গোটাবায়া রাজাপাকসে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/07/10/565788410716115_0.jpg)
সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা ফের হয়ে উঠেছে অগ্নিগর্ভ। হাজারো জনতার পদভারে প্রকম্পিত হলো প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন; জনতার ক্ষোভের আগুনে পুড়ল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। অবশেষে টানা কয়েক মাসের গণবিক্ষোভের কাছে হার মানলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।
গতকাল শনিবার দিনভর উত্তেজনা, রাজধানী কলম্বোর পথে পথে বিক্ষোভ আর পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘাতের পর রাতে ঘোষণা এল, ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়েছেন তিনি। গোটাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, আগামী বুধবার তিনি পদত্যাগ করবেন।
এদিকে, ‘দেশের স্বার্থে, সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করতে’ পদত্যাগে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও। খবর রয়টার্সের।
স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেইওয়ারদেনা বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর’ নিশ্চিত করতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
‘তাই আমি দেশের জনগণকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা শান্তি বজায় রাখুন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন,’ বলেন স্পিকার।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/07/10/capture_0.jpg 687w)
বিবিসি লিখেছে, নজিরবিহীন এ গণ-অসন্তোষ থামাতে জলকামানের পানি আর বন্দুকের গুলি- দুটোই ব্যবহার করেছে পুলিশ; কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দমাতে পারেনি।
দুপুরেই চড়াও হয়েছিল জনতা, পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। হাজারো জনতা যখন তাঁর বাসভবনে ঢুকে পড়ল স্রোতের মত, ঠেকানোর কোনো উপায়ও ছিল না।
প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তাণ্ডব চালানোর পর বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাড়িতে। রাজপথে স্লোগান ওঠে—‘আমরা বলছি এখনই যাও’। একপর্যায়ে জ্বলে ওঠে আগুন। বিক্রমাসিংহে তখন বাড়ি ছিলেন না। তাঁরা এখন কোথায় আছেন তা স্পষ্ট নয়। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের দুজনকেই।