দায়িত্ব নেওয়ার ২৬ দিনের মাথায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেওয়ার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠকের পর এলিসি প্রাসাদ এই আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেয় তিনি। খবর বিবিসির।
প্রধানমন্ত্রী লেকর্নু বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে রাজি না হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ পাননি।
সাবেক সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লেকর্নু মাত্র ২৬ দিন আগে ফ্রাঁসোয়া বেয়রোর পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন। জাতীয় পরিষদের বিভিন্ন দল লেকর্নুর মন্ত্রিসভার গঠনকে তীব্র সমালোচনা করেছিল এবং তা ভোটে বাতিল করার হুমকি দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় লেকর্নু রাজনৈতিক দলগুলোর ‘পক্ষপাতমূলক ক্ষুধা’র তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দলগুলো এমন আচরণ করছে যেন তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সবাই চেয়েছিল অন্য দল তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করুক।
লেকর্নু বলেন, এই অচলাবস্থা কাটাতে দলগুলোকে আরও নম্র হতে হবে এবং ‘কিছু অহংকারকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।’
এই পদত্যাগের পর ম্যাক্রোঁর সামনে এখন তিনটি বিকল্প রয়েছে— অন্য একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ, জাতীয় পরিষদ ভেঙে আগাম নির্বাচন অথবা তাঁর নিজের পদত্যাগ।

তবে এই পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচনই সবচেয়ে যৌক্তিক পথ বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও এর ফল ম্যাক্রনপন্থি কেন্দ্রের জন্য পরাজয় ও কট্টর-ডানপন্থি মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) এর জন্য বড় জয় নিয়ে আসতে পারে। লে পেন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন একমাত্র বুদ্ধিমানের কাজ হলো নির্বাচন করা।’
উল্লেখ্য, লেকর্নু দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে প্যারিস এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমেছে।