আর্থিক সংকটে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন স্থগিত
আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় আগামী ৯ মার্চ স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অর্থ সংকটে সেই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে ৩ মার্চ নির্বাচনের নতুন তারিখের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার আগে শুক্রবার একটি বৈঠকে বসেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
অর্থ সংকটের জন্য আগামী মে মাস পর্যন্ত নির্বাচন পেছানো নিয়ে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। সেই পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল গতকাল। তবে, সেটি হয়নি। শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এরপরেই নির্বাচন কমিশন থেকে এ ঘোষণা আসে।
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে এবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ারডেনের শরণাপন্ন হবেন নির্বাচন কমিশন।
মাসখানেক আগে শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানায় নির্বাচন কমিশন। ওই সময় তারা জানিয়েছিল, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ৯ মার্চ নির্বাচন করা কষ্টদায়ক হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা এখন অর্থনৈতিক সংকটের যে ঘূর্ণিতে আছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব হলো দেশকে এই ঘূর্ণি থেকে বের করে আনা। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশের টালমাটাল অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।’
তবে, স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে এসজিবিসহ বিরোধী পার্টিরা। নির্বাচন বন্ধের জন্য শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী ওয়িকরেমসিঙ্গেকে দুষছেন তারা। তাদের দাবি, হারের ভয়ে তারা নির্বাচন বন্ধ করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফান্ড ছাড়ছে না। তারা নাশকতা করতে চাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কায় প্রতি চার বছর পর পর স্থানীয় নির্বাচন হয়। এর মাধ্যমে ৩৪০টি কাউন্সিলে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়। গত বছরের মার্চে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দেশটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। দেশটির সরকারের ভাষ্য, স্থানীয় নির্বাচনের ব্যয় রিজার্ভে প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের জন্য খরচ হবে এক হাজার রুপি (শ্রীলঙ্কার মুদ্রা) খরচ হবে।