আল-আকসায় সংঘর্ষ : ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ ঘোষণা এরদোয়ানের
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা মসজিদে তারাবির নামাজরত মুসলিমদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গতকাল শনিবার রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান ইসরাইলের এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি ইসরাইলকে ‘নিষ্ঠুর ও সন্ত্রসী রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘নিষ্ঠুর ইসরায়েল ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল নির্দয় এবং অনৈতিকভাবে জেরুজালেমে মুসলিমদের আক্রমণ করছে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তুরস্ক অবিলম্বে জাতিসংঘ, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ও সব প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
এর আগে শুক্রবার ফিলিস্তিনে মুসলিমদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে তারাবির নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট ও স্ট্যান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় ফিলিস্তিনের যুবকেরা ইসরায়েলি পুলিশকে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০৫ জন ফিলিস্তিনি ও ১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
জেরুজালেমের পুরানো শহরাঞ্চল আল জাররাহ থেকে কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে ইহুদিবাদি দখলদারেরা উচ্ছেদ করবে—এমন খবরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর চড়াও হয়। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জরুরি সেবা বিভাগ ও ইসরায়েলি পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতের ঘটনায় মুসল্লিদের বেশিরভাগ মসজিদের অভ্যন্তরেই আহত হন। সংঘর্ষে ইসরায়েলি বাহিনী রাবার বুলেট ও স্ট্যান গ্রেনেড ছোড়ে। আর ফিলিস্তিনিরা পাথর ও বোতল ছোড়ে। স্থানীয় হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে গুরুতর নয় এমন আহতদের চিকিৎসায় অস্থায়ী হাসপাতাল বসায় রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এই হামলার পরই মুসলিম বিশ্বের নেতা এরদোয়ান প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান করেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের এই নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।