ইয়াঙ্গুনের দুই এলাকায় মার্শাল ল জারি
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে একদিনে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও চীনা অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এরপর দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের দুটি শিল্পাঞ্চলে মার্শাল ল (সামরিক আইন) জারি করা হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ঘোষণা করেছে। খবর ব্যাংকক পোস্টের।
গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গতকাল রোববার সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন দেখেছে মিয়ানমার। এদিন দেশজুড়ে ৩৯ জন নিহত হয়েছে।
এদিন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে লাঠি ও ছুরি ব্যবহারকারী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে ইয়াঙ্গুনেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। এ ছাড়া মান্দালয় ও বাগোসহ অন্যান্য শহরের এদিন ১৬ বিক্ষোভকারী ও এক পুলিশ নিহত হয়।
পশ্চিম ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া উপশহরীয় এলাকায় চীনা বিনিয়োগে পরিচালিত দুটি পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সামরিক বাহিনী ওই এলাকাসহ ইয়াঙ্গুনের দুটি জায়গায় মার্শাল ল জারি করে। জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা মনে করে, সামরিক অভ্যুত্থানে বাহিনীকে মদদ দিচ্ছে চীন।
এদিকে চীনা দূতাবাস বলেছে, হ্লাইংথায়ায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা গার্মেন্ট কারখানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে, এতে অনেক চীনা কর্মী আহত ও অনেকে ভিতরে আটকা পড়েছেন; তারা চীনা সম্পত্তি ও নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে রয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সাধারণ জনগণ।