ইয়েমেনে সামরিক ক্যাম্পে সৌদি জোটের বিমান হামলা
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। জানা গেছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সানার একটি সামরিক ক্যাম্পে এবার আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যদিও হুতি বিদ্রোহীরা বলছেন, হামলাগুলো একটি কারাগার প্রাঙ্গণ ও একটি হাসপাতালে আঘাত হানে। শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সৌদি জোটের দাবি, এবার আক্রমণ চালিয়ে ওই ক্যাম্পে থাকা হুতি বিদ্রোহীদের সাতটি ড্রোন ও অস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে। উত্তর ইয়েমেন থেকে সৌদির লোহিত সাগর অঞ্চলের জিজানের দিকে সশস্ত্র ড্রোন চালানোর প্রতিক্রিয়ায় বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করে জোট।
হুতি নিয়ন্ত্রিত মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোররাতে সানার সাবাইন পাড়ায় বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ওই এলাকার বেসামরিক বাড়ি, একটি প্রসূতি-শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দরে আক্রমণ চালায়। বিমান হামলা চালানোর পর জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আন্তঃ সীমান্ত বিমান হামলা চালানোর কাজে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো। বিমান থেকে গোলাবর্ষণের সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইট অর্থাৎ কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
সৌদি জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার্কি আল-মালকি বলেছিলেন, এবারের বিমান হামলায় মোট ছয়টি লক্ষবস্তু, বিশেষ করে যেসব জায়গা থেকে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হতো, ড্রোন চালানো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন এমন মানুষজনের বাড়িঘর এবং যেসব জায়গায় ড্রোন রাখা হয় সেসব স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।