ট্রাম্প নিয়ে বিতর্কের সাত কাহন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে অভিশংসনের বিতর্কে ছিল ‘একতা’, ছিল ‘ক্রোধ’, আরও ছিল ‘অতিরঞ্জন।’ ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছিলেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা তুলে ধরছিলেন ট্রাম্পের ‘সাহসী’ চরিত্র।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ওই বিতর্কে ট্রাম্পকে নিয়ে দুইপক্ষের শব্দ ব্যবহার ছিল উল্লেখযোগ্য। ট্রাম্প এসব বক্তব্য সরাসরি শুনেছেন কিনা জানা যায়নি। অবশ্য বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়, ট্রাম্প নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, বিতর্ক শুনবেন না! সংবাদমাধ্যম সিএনএন, এনবিসি, বিবিসি এসব তথ্য জানায়।
‘তিনি আর কোনো উপায় দেননি’
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শুরুতেই তিনি ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের লক্ষ্য হোয়াইট হাউজের কার্যক্রমের কারণে হুমকির মুখে। এ কারণে আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিশংসন নিয়ে বিতর্ক শুরু করছি। যদি আমরা এখন কিছু না করি, আমাদের দায়িত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্টের বেপরোয়া কার্যক্রম অভিশংসনকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে। তিনি আমাদের আর কোনো উপায় দেননি।’
ট্রাম্পের চেয়েও বেশি অধিকার পেয়েছিলেন যিশু!
রিপাবলিকান সদস্য ব্যারি লডারমিল্ক ট্রাম্পের পক্ষে বলতে গিয়ে জানান, যখন যিশুকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়, তখনও তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। নিজের অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলার জন্য যিশুকে সময় দেওয়া হয়। লডারমিল্কের দাবি, এর চেয়েও কম সময় দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পকে।
‘কলঙ্কজনক দিন’
রিপাবলিকান মাইক কেলি বলেন, ‘১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। (পার্ল হারবারে হামলা) সাবেক প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলেছিলেন দিনটি কুখ্যাত। ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ দিনটিও কুখ্যাত।’
‘নৈতিক কর্তব্যবোধ’
ডেমোক্র্যাট জন লুইস বলেন, ‘যখন আপনি দেখবেন কিছু ঠিক হচ্ছে না, ন্যায়সঙ্গত হচ্ছে না তখন কিছু বলার জন্য, কিছু করার জন্য আপনার নৈতিক কর্তব্যবোধ আছে। আমাদের সন্তানেরা প্রশ্ন করে, আমরা কী করছি। আপনি কী বলবেন? ’
‘লজ্জা আর অপরাধের বিরাট বোঝা’
রিপাবলিকান ম্যাট গায়েৎজ বলেন, ‘যারা আজ হ্যাঁ বলবেন (ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে থাকবে) তাঁরা লজ্জা আর অপরাধের বিরাট বোঝাটা বহন করবেন, যা তাঁরা কংগ্রেসে দিচ্ছেন। আমেরিকানরা আগামী নভেম্বরে তা মনে রাখবে।’
‘কিছু না করাটা অপশন না’
ডেমোক্র্যাট সদস্য রাশিদা তাইব বলেন, ‘কিছু না করাটা কোনো অপশন না। অপরাধকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতি থেকে আমাদের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যত সুরক্ষা,ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, ঘুষ দমনের ক্ষেত্রে ওই কথাটা প্রযোজ্য।’
‘ট্রাম্পের বন্ধু পুতিন’
ডেমোক্র্যাট পিটার ডিফাজিও বলেন, ‘ট্রাম্প হচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) বন্ধু।’ তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন দখলে নিয়েছিল রাশিয়া, ভ্লাদিমির পুতিন, আপনারা জানেন? সে ট্রাম্পের বন্ধু।’