বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলে চুক্তি করল চীন-যুক্তরাষ্ট্র
বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এ দুই দেশের বাণিজ্য বিরোধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে।
এদিকে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এই সমঝোতা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘রূপান্তরকারী’ হয়ে উঠবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
অন্যদিকে, চীন এ চুক্তিকে ‘দুই পক্ষের জন্যই উপকারী’ বলে মনে করছে। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কেরও উন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে চীন।
চুক্তি অনুযায়ী চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার কোটি মূল্যমানের পণ্য আমদানি করবে। আমদানির এই অর্থমূল্য ২০১৭ সালের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের আমদানির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি জোরদার করারও অঙ্গীকার করেছে চীন।
এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু চীনা পণ্যে নতুন আরোপ করা শুল্কহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
তবে এখনো সিংহভাগ সীমান্ত কর আগের মতোই রয়েছে। এ বিষয়ে আরো আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের চীনা সেন্টারের সভাপতি জেরেমি ওয়াটারম্যান বলেন, ‘সামনে আরো প্রচুর কাজ করতে হবে। মোদ্দাকথা হলো, তারা এখন (চুক্তিটি) উপভোগ করছে করুক, কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে খুব বেশি দেরি করা যাবে না।’
গত বছর থেকে পরস্পরের সঙ্গে ‘ইটের জবাবে পাথর’ সম্পর্ক চলছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। তীব্র বাক্যবাণে পরস্পরকে জর্জরিত করা কিংবা তীব্র উত্তেজনা—এমনটাই দেখা গেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে। হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে। বিশ্বের দুই অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের মধ্যকার বিবাদে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য, মন্থর হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।