মহামারি আরও ১০ কোটি শ্রমিককে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে : জাতিসংঘ
কোভিড-১৯ মহামারি আরও ১০ কোটি শ্রমিককে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘ গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছে। কাজের সময় কমে যাওয়া এবং ভালো কাজের সুযোগ নষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ কথা বলেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, মহামারির কারণে শ্রম বাজারে সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তরণ এখনও অনেক দূরের বিষয়।
আইএলও বলছে, ২০২৩ সালের আগে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি মহামারির পূর্বের পর্যায়ে পৌঁছাবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
আইএলও’র প্রধান গুই রাইদার সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ কেবল স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি কর্মসংস্থান ও মানবিক সংকটও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে বেকারত্বের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২০ কোটি, যা ২০১৯ সালে ছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ। তবে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইএলও’র প্রতিবেদনে বলার হয়েছে, অনেক লোক চাকরিতে বহাল আছে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে তাদের কর্মঘণ্টা কমে গেছে। করোনার কারণে ২০১৯ সালের চতুর্থাংশের তুলনায় ২০২০ সালে কর্মঘণ্টা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। বিশ্বে এখনও ১০ কোটি পূর্ণকালীন চাকরির সমান কর্মঘণ্টা কম রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বৈশ্বিক কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, এই উত্তরণ সমভাবে ঘটবে না বলে সতর্ক করেছে আইএলও। কারণ, কোভিড-১৯-এর টিকার সমবণ্টন সম্ভব হচেছ না। বিশ্বের ৭৫ শতাংশেরও বেশি টিকার ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১০টি দেশে।
গুই রাইদার সতর্ক করে বলেন, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ না নিলে কোভিড-১৯-এর কারণে বৈশ্বিক শ্রম বাজারের সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, কেবল স্বাস্থ্য বিষয় নয়, দীর্ঘমেয়াদে কোভিড-১৯ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে রূপ নেবে।