রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করলেন নরওয়ের রাজকুমারী
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ডুরেক ভেরেটের সঙ্গে রাজকুমারীর বাগদান হয়েছে আগেই। এবার রাজকুমারী মার্থা লুইস সিংহাসন ত্যাগ করেছেন। উদ্দেশ্যে, বাগদত্তের সঙ্গে যৌথভাবে বিকল্প ওষুধ ব্যবসায় মনোনিবেশ করবেন তিনি। মঙ্গলবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা রাজপরিবারকে জানান মার্থা।
মার্থা লুইসের বয়স ৫১ বছর। বাগদত্তা ডুরেক ভেরেটের বয়স ৪৭। ডুরেক একজন স্বঘোষিত ‘শ্যামন’ (আধ্যাত্মিক গুরু)। হলিউডে ডুরেক ব্যাপক জনপ্রিয়। ডুরেকের সঙ্গে মার্থার সম্পর্কের খবর নরওয়েজুড়ে ব্যাপক হইচই তৈরি করেছিল।
ডুরেকের আগের পাঁচ প্রজন্মও শ্যামন ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ডুরেক। ডুরেক তাঁর লেখা বই ‘স্পিরিট হ্যাকিং’-এ দাবি করেছিলেন, একজন মানুষ নিজের ইচ্ছায় ক্যান্সারকে শরীরে বাসা বাঁধতে দেয়। আর এরপরই বিতর্কের মুখে পড়েন ডুরেক।
ডুরেকের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটও রয়েছে। করোনাকালে সেই ওয়েবসাইট থেকে তিনি ‘স্পিরিট অপ্টিমাইজার’ নামে একটি পাথর ২২২ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ২৩ হাজার টাকা। ওয়েবসাইটে তিনি দাবি করেছিলেন যে, এই পাথর তাকে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
এক সময় নরওয়ের রাজপরিবারের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকলেও মার্থা এবং ডুরেকের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।
মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে মার্থা জানান, ‘রাজপরিবারে শান্তি আনতে’ তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করছেন। রাজকুমারী হওয়ার পাশাপাশি রাজপরিবারের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের ভার ছিল মার্থার কাঁধে। সমস্ত দায়িত্ব থেকেই অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।
রাজপরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজকুমারী মার্থা রাজকীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আর থাকছেন না। পাশাপাশি তিনি আর রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব করবেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রাজার ইচ্ছা অনুসারে তিনি সব সময়ই রাজকুমারী থাকবেন।
এর আগেও মার্থার একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে তাঁর তিন সন্তানও রয়েছে। তবে মার্থার সেই বিয়ে ভেঙে যায়।