লাহোরে চেতনানাশকের তীব্র ঘাটতি, শত শত অস্ত্রোপচার স্থগিত

পাকিস্তানে অর্থনীতি সঙ্কুচিত এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জেরে লাহোরে চেতনানাশক ওষুধের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে অসংখ্য গুরুতর রোগীর জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে শত শত অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের চরম অক্ষমতা ও অবহেলার কারণে শহরটির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চেতনানাশক ওষুধের এ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, শুধুমাত্র লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতালই চেতনানাশক ওষুধ ‘ইন ড্রাগসফ্লুরা’র তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে না, বরং সব বড় সরকারি সেক্টরের হাসপাতালগুলোও এ ওষুধ সংগ্রহের জন্য কঠোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, দেশটির ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সাধারণ অ্যানেসথেসিয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘আইসোফ্লুরেন ড্রাগ’ অনুমোদন করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির অবমূল্যায়নের কারণে বিক্রেতারা ওষুধের আনুষ্ঠানিক সরবরাহ বন্ধ করার পরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফডিএ।
তবে ওই কর্মকর্তা যোগ করেন, সরবরাহকারীরা সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া দামে এ ওষুধের আরও চালান সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য সচিব আলী জান বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে নিজেরাই ওষুধের ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতাল তাদের অর্থোপেডিক, নিউরোলজি, পেডিয়াট্রিক এবং অন্যান্য ইউনিটে গুরুতর রোগীদের অস্ত্রোপচার করার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধের ২০টি শিশি (ইউনিট) কিনেছিল, যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।