নিজ শহরে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মালালা ইউসুফজাই
সশস্ত্র উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবানের হামলায় আহত হয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার পর একজন সাধারণ স্কুলছাত্রী থেকে সারা বিশ্বে নারীশিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে নোবেল বিজয়ী হয়ে ওঠা মালালা ইউসুফজাই ছয় বছর পর পাকিস্তানে তাঁর নিজ শহরে ফিরেছেন।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ সকালে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সোয়াত উপত্যকায় আসেন মালালা।
মালালার চাচা মাহমুদুল হাসানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখান থেকেই মালালা মিনগোরার বাড়িতে যান। সেখানে তিনি তাঁর পরিবারের অন্য সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলিত হবেন।
মালালার আগমন উপলক্ষে অবশ্য আগে থেকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় মিনগোরা এলাকা।
মালালার বয়স এখন ২০ বছর। ২০১২ সালে নারীশিক্ষার প্রচারের সময় খাইবার পাখতুন প্রদেশে সোয়াত উপত্যকায় তালেবান গোষ্ঠী তাঁর মাথায় গুলি করে। তার পর থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যে আছেন। এখন তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করছেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, মালালা তাঁর বাবার সঙ্গে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মালালার এই সফর চারদিনের হতে পারে। তাঁর সঙ্গে দাতব্য প্রতিষ্ঠান মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন।
মালালার এ সফর ঘিরে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেও তিনি নারীর শিক্ষার ব্যাপারে ভূমিকা রাখার কথা জানান।
২০১২ সালে সোয়াতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পাকিস্তানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মালালা ইউসুফজাইকে নিয়ে যাওয়া হয় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যামে রানি এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে সুস্থ হওয়ার পরই তিনি সারা বিশ্বের নজরে আসেন। এখন মালালা তাঁর পরিবার নিয়ে বার্মিংহ্যামেই থাকেন।