মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে দিল্লিতে মোদি-পুতিন শীর্ষ বৈঠক
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের তীব্র চাপের মুখেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আতিথেয়তা দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শীর্ষ বৈঠকও করছেন এই শীর্ষ দুই নেতা। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে গার্ড অব অনার ও ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে পুতিনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বৈঠকে পুতিন জানান, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, বিমান এবং মহাকাশ অনুসন্ধানসহ ‘অনেকগুলো নথি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কাজ হবে। তিনি দিনটিকে ‘ফলপ্রসূ’ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দুই নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। মোদিকে ইউক্রেনে চলমান ঘটনা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মস্কোর প্রচেষ্টার বিষয়ে বিস্তারিত জানান পুতিন। জবাবে মোদি বলেন, ভারত ‘শান্তির পক্ষে’ রয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট পুতিন দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ আলিঙ্গন করেন। এরপর দুজন একই গাড়িতে করে নৈশভোজে যান। এই ঘটনাটি প্রতীকী বন্ধুত্বের এক জোরালো প্রদর্শনী। মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দুজনের হাসিমুখের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব পরীক্ষিত সম্পর্ক যা আমাদের জনগণের জন্য অত্যন্ত উপকারী।’
এই বৈঠকটি কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রুশ তেল ক্রয়ের কারণ দেখিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফর ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ভারসাম্যের কৌশলকে প্রতিফলিত করে। মার্কিন শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভারত কৌশলগতভাবে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগদানের আগে দুই নেতা ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক