যে কারণে এ বছরের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত

যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির মধ্যে ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগেও প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এ পুরস্কার সাতবার স্থগিত হয়েছিল। শেষবার স্থগিত হয় ১৯৪৩ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।
এ বছর জটিলতা সৃষ্টি হলো সুইডিশ একাডেমির জাঁ ক্লদ আহনোর বিরুদ্ধে তোলা যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আহনোকে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তিনি সুইডিশ একাডেমির ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনের স্বামী।
খুব স্বাভাবিকভাবেই জাঁ ক্লদ আহনো সুইডিশ একাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। গত বছরের শেষের দিকে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার আহনোর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আজ এ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, প্রায় এক দশক আগে একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে তিনি সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে আপত্তিকর স্পর্শ করেন।
তবে এই সপ্তাহের শুরুতেই আহনোর আইনজীবী বিয়র্ন হারটিগ এক বিবৃতিতে জানান, তাঁর মক্কেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সুইডিশ আইনি সংগঠন ও একাডেমি জানায়, আহনোর বিরুদ্ধে আর্থিক আইন ভঙ্গ ও অযাচিত ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে, আইনজীবীরা জানতে পারেন যে আহনোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ কেবল এবার নয়, ১৯৯৬ সালেই পাওয়া গিয়েছিল।
গত মাসের এক বিবৃতিতে সুইডিশ একাডেমি চিঠিটি সরিয়ে রাখা এবং কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে।
সুইডেনের সাংবাদিক আলেকজান্দ্রা পাস্কালিডো বলেন, ‘এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৮ সালে এসে সংস্থাটি খুবই মামুলি ও প্রাচীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একাডেমির সদস্যরা সুইডেনের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম ও শক্তিশালী ঐতিহ্যকে নোংরা বিষয়ে পরিণত করেছে।’
সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সুইডিশ একাডেমির সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেছেন।