লিবিয়ায় অভিবাসী বন্দিশালায় বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৪০
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে একটি অভিবাসী বন্দিশালায় বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার লিবিয়াসংলগ্ন উপশহর তজুরাতে ওই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে বলে আজ বুধবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই আফ্রিকান বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, তজুরা এলাকার একটি ভবনে ১২০ অভিবাসী ছিলেন, সেখানেই ওই হামলার ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান ওসামা।
এদিকে, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় সরকারের (জিএনএ) প্রধানমন্ত্রী ফায়েজাল-সেরা এ হামলার ঘটনায় সরকারবিরোধী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছেন।
বর্তমানে তজুরা এলাকায় খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে এলএনএ বাহিনী সরকার অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। হামলার শিকার অভিবাসী আটক কেন্দ্রটি ওই এলাকাতেই।
এর আগে ত্রিপোলির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণাও দেয় এলএনএ। যদিও বাহিনীটির একজন মুখপাত্র জানান, তাঁরা ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে হামলা চালাননি।
সম্প্রতি ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য লিবিয়া হয়ে উঠেছে এক সহজ গমনপথ। দেশটির উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ইউরোপের দূরত্ব কম হওয়ায় এ পথ ব্যবহার করতে তৎপর মানবপাচারকারী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ফলে অবৈধ উপায়ে এ পথে যাত্রা করা হাজার হাজার অভিবাসীকে বিভিন্ন বন্দি কেন্দ্রে আটকে রেখেছে লিবিয়া সরকার। বন্দিশালাগুলোর সার্বিক অবস্থা মানবেতর বলে দাবি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।
২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা বিরাজ করছে।