যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ‘ব্যাগে বোমা’ আছে বলে স্কুলের সহপাঠীর সঙ্গে কৌতুক করেছিল ১২ বছরের এক শিখ কিশোর। তবে এই কৌতুকের কী মূল্য দিতে হবে তা কল্পনাও করেনি সে। টানা তিনদিন তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সম্প্রতি ওই কিশোরের পরিবার অভিযোগ করেছে, পরিবারের সঙ্গে কথা বলা বা কোনো তদন্ত ছাড়াই তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে এক ফেসবুক পোস্টে শিখ কিশোর আরমান সিং সারাইয়ের প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের অবিবেচক আচরণের কথা তুলে ধরেন জিনি হায়ের নামে তাঁরই এক চাচাতো বোন। জিনি অভিযোগ করেন, একটি কৌতুকের জন্য আরমানকে কারাগারে পাঠানো হাস্যকর। স্কুলের প্রিন্সিপাল আরমানকে কোনো প্রশ্ন করা, জিঙ্গাসাবাদ বা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই পুলিশে খবর দেন। গত সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হায়েরের ফেসবুকের এই পোস্ট কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেছে।

জানা গেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে দ্রুত টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের নিকোলাস জুনিয়ার হাইস্কুলে পৌঁছে পুলিশ।

গত শুক্রবার আরমান স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় তার মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান। পরে পুলিশের কাছে ফোন করলে তাঁরা আরমানের আটকের বিষয়টি জানতে পারেন। অভিভাবকের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, আরমানের জন্ম টেক্সাসেই। সেখানেই শিখ পরিবারে সে বড় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আর দশটি ছেলের মতো টিভি দেখা ও ভিডিও গেম খেলে সে। কয়েক মাস আগে তাঁর পরিবার ডালাসে আসে। আরমানের চাচাতো বোনের পোস্ট অনুযায়ী, হৃৎপিণ্ডের সমস্যার কারণে সে তেমন একটা বাড়ির বাইরে বের হতো না।