পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কপাল পুড়ছে নিষিদ্ধ রাজনীতিবিদদের

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কোনো ব্যক্তিকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করলে তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে না। তবে, গত মে মাসে দেশটির পার্লামেন্টে রিভিউ অব জাজমেন্টস অ্যান্ড অর্ডার-২০২৩ নামে একটি আইন পাস হয়। ওই আইনে রাজনীতিতে নিষিদ্ধদের রায় পর্যালোচনার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। যদিও আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এতে করে কপাল পুড়ছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য এবং ধনকুবের জাহাঙ্গীর তারিনের। খবর জিও টিভির।
প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সম্প্রচার মাধ্যমটি জানিয়েছে, সংবিধানের ৬২ ধারায় নওয়াজ শরীফ ও তারিনকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। যদি, আজকের পিটিশনটি আবেদনের পক্ষে যেত, তাহলে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষিত এই দুই নেতাই আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারতেন।
মে মাসে বাস্তবায়িত হওয়া রিভিউ অব জাজমেন্টস অ্যান্ড অর্ডার-২০২৩ অ্যাক্টটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল হয়। প্রধান বিচারপতি গোলাম মহিউদ্দিন, বিচারক উমর আতা বান্দিয়াল এবং বিচারক ইজাজুল আহসান ও বিচারক মুনিব আক্তারের তিনটি আলাদা বেঞ্চে এসব পিটিশনের শুনানি হয়।
সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনগুলো করেন গোলাম মহিউদ্দিন, জামান খান ভারদাক, দ্য জুরিস্ট ফাউন্ডেশনের সিইও রিয়াজ হানিফ রাহি এবং রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
এসব পিটিশনকে বাতিল করতে এর আগে আহ্বান জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অ্যার্টনি জেনারেল মুনসুর উসমান আওয়ান। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আইনটি আদালতের এখতিয়ারকে বাড়াবে এবং এটা আদালতের ক্ষমতাও খর্ব করবে না।
তবে, পিটিআইয়ের মহাসচিব ওমর আইয়ুবের পক্ষে তার আইনজীবী আলী জাফর বলেন, ‘আইনসভার মাধ্যমে শুধুমাত্র আদালতে ক্ষমতাকে বাড়ানো যাবে না। এর জন্য সাংবিধানিক সংশোধনেরও প্রয়োজন রয়েছে।’

ছয় শুনানির পর আজ দেওয়া রায়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, ‘আইনটি সংবিধানবিরোধী। আজ যে রায় দেওয়া হয়েছে তা সর্বসম্মতভাবে।’