আরও পণবন্দি মুক্ত করার চাপে ইসরায়েল, গাজায় হামলা চলছেই
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতাদের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। আজ রোববারও (১৭ ডিসেম্বর) গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। খবর এএফপির।
গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিজেদের তিনজন পণবন্দির মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন জিম্মিদের আত্মীয়-স্বজনদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের মুক্ত করতে জরুরি ভিত্ততে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে।
৭ অক্টোবর হামাসের অস্ত্রধারীরা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায় এবং এক হাজার ১৪০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে। এ সময় হামাসের অস্ত্রধারীরা ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ওই তিন জিম্মিও ছিল এই তালিকায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।
গতকাল শনিবার জিম্মিদের মুক্ত করতে চুক্তিতে পৌঁছাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছেন হামাসের হাতে জিম্মিদের স্বজনেরা।
এর আগে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ১০০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে মুক্ত করা হয় ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে।
এদিকে নিজেদের সেনাবাহিনীর হাতে জিম্মি নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় হামলা আরও জোরালো করতে নির্দেশ দিয়েছেন। জিম্মিদের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে, পুরো জাতির হৃদয় ভেঙে গেছে।’
এদিকে আজ রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় দেইর আল-বালাহ এলাকায় ১২ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিমান থেকে বোমাবর্ষণ ও স্থলপথে কামানের গোলার মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে।
ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলই ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধে গাজা উপত্যকার ১৯ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।