রাফাহতে আক্রমণ বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান দক্ষিণ আফ্রিকার
গাজার ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে আসন্ন স্থল অভিযান বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আরও আইনি চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ অনুরোধ জানায় দেশটি। প্রিটোরিয়া ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালত হেগের কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
অন্তর্নিহিত ইস্যুতে এই আদালত এখনও রায় দেয়নি, তবে ২৬ জানুয়ারি আদালত অন্তর্বর্তী আদেশে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ সত্ত্বেও ইসরায়েলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেকে তার অন্তর্বর্তী আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং একটি কঠোর আদেশ জারি করার জন্য এটি যথেষ্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিজেতে নতুন আবেদনে বলেছে, ‘অন্তর্বর্তী আদেশের পর থেকে গাজার অব্যাহত পরিস্থিতিতে আদালতের জরুরি মনোযোগ প্রয়োজন। নতুন করে অভূতপূর্ব সামরিক আক্রমণের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েল ইতোমধ্যে রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে এবং এর ফলে আরও বড় আকারে হত্যাযজ্ঞ, ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংস হবে। এর মাধ্যমে গণহত্যা কনভেনশন এবং ২৬ জানুয়ারি এই আদালতের দেওয়া আদেশ, উভয়েরই অপূরণীয় লঙ্ঘন হবে।’
প্রতিদিন গাজায় বিপুল মৃত্যুর বিষয়টির আলোকে আদালত প্রয়োজনীয় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ২৮ হাজার ৪৭৩ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।