নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন। এর আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) আটলান্টায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজনে দুজনের নির্বাচনি বিতর্ক শুরু হয়।  বিতর্ক শেষে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি বিতর্কে ভালো করেছেন। যদিও চারদিকের আলোচনা-সমালোচনা বলছে, বিতর্কের পর বাইডেন শিবিরে হতাশা নেমে এসেছে আর উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প শিবির। খবর এএফপি ও সিএনএনের।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন লড়বেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে। আর রিপাবলিকান পার্টির হয়ে লড়বেন ট্রাম্প (৭৮)। এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, বাইডেনের বিতর্ক শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিপৎঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। যদিও তিনি তা বিশ্বাস করতে নারাজ। এক প্রতিবেদনে ফরাসি গণমাধ্যম এএফপি বলছে, বিতর্কের পর আটলান্টার একটি রেস্তোরা থেকে নেমে আসার পর বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভাল করেছি।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিতর্কে দুর্বল ছিলেন—এমন সমালোচনায় যখন চারদিক মেতেছিল, তখন তিনি এই দাবি করেন।

সিএনএন ও এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাইডেনের শিবিরে হতাশা বিরাজ করছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, বিতর্কে বাইডেন অনেক কিছুতেই ট্রাম্প থেকে পিছিয়ে ছিলেন। কারণ, ট্রাম্প অনর্গল মিথ্যা বলে গেলেও তাকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি বাইডেন। বাইডেন প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বিতর্কের বিষয়ে বলেছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী (বাইডেন) ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন। যদিও পরে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বিতর্ক শেষ করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ভোটারদের বাইডেনের কৃতিত্বের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, বিতর্কের দিকে নয়। আর বাইডেন ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেছেন, একজন মিথ্যাবাদীর সঙ্গে বিতর্ক করা কঠিন।

চার বছর পর বাইডেন-ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিতর্কে ট্রাম্প ৪০ মিনিট ১২ সেকেন্ড আর বাইডেন ৩৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ড কথা বলেন।

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, বিতর্ক দেখেছেন—এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্প ভালো করেছেন। আর মাত্র ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন। বিতর্ক শুরুর আগে একই ভোটারদের মধ্যে ৫৫ শতাংশের ধারণা ছিল, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প ভালো করবেন।